প্রতীকী ছবি।
করোনা শুধু বিভিন্ন দেশে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণই নেয়নি, এর জেরে বিশ্বে বেড়েছে বৈষম্যও। যা আগামী দিনে অর্থনীতি এবং ভৌগলিক সামঞ্জস্যের সামনে বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে জানাল ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। পরের সপ্তাহে ‘দাভোস অ্যাজেন্ডা’ বৈঠকের আগে বিশ্বে ঝুঁকির মাত্রা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বে ভৌগলিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে ভারত-চিনের তলানিতে নামা সম্পর্কও। যার জেরে অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে বিশ্ব বাণিজ্য ও বৃদ্ধিতে।
অতিমারির কারণে ভবিষ্যতে আরও কোটি কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে চলে যেতে পারেন, তা বার বারই বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। ডব্লিউইএফের মতে, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, উন্নত ডিজিটাল পরিষেবায় এক শ্রেণির মানুষের পিছিয়ে পড়া এবং সেখান থেকে তৈরি হওয়া ক্ষোভ ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
সেই সঙ্গে রিপোর্টে দু’বছরে রোগের প্রকোপ, চাকরির অভাবের কারণে জীবন ও জীবিকায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। তিন-পাঁচ বছরে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিপুল ঋণ, তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো ভেঙে পড়া, চড়া মূল্যবৃদ্ধিকেও।
এ দিকে আর্থিক বৈষম্য নিয়ে আজ সতর্ক করেছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসও। তাঁর মতে, করোনার আগের অবস্থায় ফেরার বদলে নতুন পৃথিবী গড়ায় জোর দিতে হবে সকলকে।