—প্রতীকী চিত্র।
আসন্ন বাজেটে করের হার কমিয়ে কিংবা করছাড়ের সুবিধা বাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চড়া দামে নাকাল সাধারণ মানুষকে সুরাহা দেওয়ার দাবি উঠছে প্রায় সমস্ত মহল থেকেই। এ বার উপদেষ্টা সংস্থা ইওয়াই-এরও বার্তা, আয়করে সুবিধা দিতে বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন অথবা করছাড়ের সীমা বাড়াক মোদী সরকার। ঢেলে সাজাক কর কাঠামো। আর্থিক বৃদ্ধির খাতিরে নীতি তৈরির পাশাপাশি জোর দিক লগ্নির পরিবেশ উন্নয়নেও।
খাদ্যপণ্যের চড়া দামে এখনও নাজেহাল আমজনতা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে প্রাক্-বাজেট বৈঠকে শিল্পমহল দেশবাসীর আয়করের চাপ কমানোর দাবি জানিয়েছে, যাতে দৈনন্দিন খরচ সামলে হাতে থাকা বাড়তি টাকায় তাঁরা কেনাকাটা বাড়াতে পারেন। তাতে চাহিদা বাড়বে। ইওয়াই বলছে, এই অবস্থায় কম হারে কর দেওয়ার ব্যবস্থা চালু থাকুক। কিন্তু তাতে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হোক কিংবা করছাড়ের সীমা ৩ লক্ষ থেকে বেড়ে হোক ৩.৫ লক্ষ টাকা। দেশে আয়কর দেওয়ার দু’টি প্রকল্প। একটি সাবেকি, তাতে বিভিন্ন করছাড় মেলে। অন্যটিতে করের হার কম। ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা থাকলেও অধিকাংশ করছাড়ই নেই। করদাতারা যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন।
ইওয়াই বলেছে কর্পোরেট করে স্থিতিশীলতা এবং উৎসে কাটা কর (টিডিএস) ব্যবস্থা সরল করার কথাও। ইওয়াই ইন্ডিয়ার কর্তা সমীর গুপ্তের বক্তব্য, টিডিএসের ৩৩টি ধারার অধীনে বিভিন্ন লেনদেন। তাতে করের হার ০.১% থেকে ৩০%। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তা সরল করলে ব্যবসার পরিবেশ সহজ হয়।