প্রতীকী ছবি।
বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পরে এ বার ধর্মঘট শুরু হচ্ছে বিমা শিল্পে। আজ, বুধবার ধর্মঘট করছেন চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থার কর্মীরা। আগামিকাল জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) কর্মীরা। বাজেটে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থার বেসরকারিকরণ, এই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি সীমা ৭৪% করা এবং এলআইসি-র বিলগ্নিকরণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এই ধর্মঘট।
অল ইন্ডিয়া ইনশিয়োরেন্স এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের (সিটু) সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মিশ্র বলেন, বিমা সংস্থায় মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে তাঁদের টাকা রাখেন। বেসরকারিকরণ হলে বা সংস্থার রাশ বিদেশিদের হাতে গেলে সেই টাকায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। বিএমএস অনুমোদিত জিআইসি এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের (পূর্বাঞ্চল) সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিদেশি লগ্নি থাকা বেসরকারি সাধারণ বিমা সংস্থাগুলি গ্রামে ব্যবসা করতে তেমন আগ্রহী নয়। বরং সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাগুলিই ভরসা।
বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হলেও মঙ্গলবার লোকসভায় ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, সরকার সব সময় সেই সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করে, যেগুলিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো সম্ভব। তিনি বলেন, ‘‘কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পুনরুজ্জীবন, সংযুক্তি, পুনর্গঠনে ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র। তালিকায় আছে ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি ফার্টিলাইজ়ার কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান স্টিলওয়ার্ক কনস্ট্রাকশন, হুগলি প্রিন্টিং কোম্পানি, এমটিএনএল, বিএসএনএল।’’ বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির দক্ষতা বাড়ানোর বদলে সেগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে রাজকোষ ভরার লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার।