ছবি এএফপি।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ সারা বিশ্বে অতিমারির চেহারা নেওয়ায় চিনকে টানা দোষারোপ করে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রবিবার মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো বলেছেন, করোনা যে চিনের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে, সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে। দুই দেশের এই রেষারেষির ধাক্কা সোমবার লাগল বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে। যার থেকে রেহাই মেলেনি ভারতেরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সংস্থার খারাপ আর্থিক ফলাফলেরও প্রভাব পড়েছে এ দেশের বাজারে।
এ দিন সেনসেক্স ২০০২.২৭ পয়েন্ট পড়ে ৩১,৭১৫.৩৫ অঙ্কে শেষ হয়। নিফ্টি ৫৬৬.৪০ পয়েন্ট পড়ে থামে ৯২৯৩.৫০ অঙ্কে। যার জেরে বিনিয়োগকারীরা এক দিনেই হারিয়েছেন ৫.৮২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। উল্লেখযোগ্য রকম পড়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়-সহ আরও কিছু সংস্থার শেয়ার দর। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের নিট মুনাফা গত আর্থিক বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৩৭% কমার বিরূপ প্রভাবও এ দিন তার শেয়ার দরে পড়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর। অনেকটা পড়েছে টাকার দামও। যার ফলে প্রতি ডলারের দাম ৬৪ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৫.৭৩ টাকা।
বাজার বিশেষজ্ঞ তথা ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে বাজার অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এ সময়ে যে কোনও উদ্বেগের খবর সহজেই বাজারে ধস নামাতে পারে। যা এ দিন ঘটেছে।’’
বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলি এপ্রিলের শেষের দিকে ভারতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছিল। গত ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল ওই সব সংস্থা মোট শেয়ার কিনেছিল ২৬৯০.৮৮ কোটি টাকার। আর এ দিন তারা ১৩৭৩.৯৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলিরও বিক্রি করেছে ১৬৬১ কোটি টাকার শেয়ার।
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যক পণ্য ছাড়াও অন্য সামগ্রী এবার অনলাইনে, শুধুমাত্র গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় পর্বে চোখ থাকবে ত্রাণের দিকে