প্রতীকী ছবি।
যাত্রিবাহী ট্রেনের গতিতে ছোটা পণ্য-বোঝাই পার্সেল ট্রেন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, আমদাবাদ, সেকেন্দরাবাদ, ভাগলপুর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অত্যাবশ্যক পণ্য নিয়ে আসছে বাংলার বাজারে জোগান দিতে। তাতে ডিম, দুধ, মাছ, আনাজ, মশলা, ওষুধ তো আছেই। করোনা-আবহে ভিন্ রাজ্য থেকে লক্ষণীয় ভাবে আমদানি বেড়েছে রসুন, পাতিলেবু, আমলকী, নানা জাতের ফল আর ঘিয়ের।
অনেকের মতে, করোনা যুঝতে ঘরোয়া উপায়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক দৈনিক খাদ্যতালিকায় রসুন, পাতিলেবু ইত্যাদি রাখার সুপারিশ করেছে। রসুন খেলে করোনা রোখা যায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটা প্রমাণিত নয়। তবে মনে করা হয়, সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দিগর্মি কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে রসুনের। তাই চাহিদা মেটাতে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা থেকে পার্সেল ট্রেনে রসুনের আমদানি বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সম্প্রতি পার্সেল ট্রেনে প্রায় ৪০ হাজার কেজি রসুন এসেছে খড়্গপুর, সাঁতরাগাছি ও হাওড়ায়।
আরও পড়ুন: কম জরুরি পণ্য বাড়ি পৌঁছতে হবে সুরক্ষা বিধি মেনে
আরও পড়ুন: অতিমারির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দেবী
লকডাউনের পরে রাজ্যের বাজারে পাতিলেবু, আমলকীর চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী। তা পূরণেও পার্সেল ট্রেনের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে। বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গড়া বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘এ রাজ্যে পাতিলেবু ও আমলকী আসে চেন্নাই থেকে।’’
একই ভাবে বাড়ছে রেলে দেশি ঘি পরিবহণ। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ভাগলপুর থেকে সম্প্রতি ১৯৩ টিন ঘি এসেছে পার্সেল ট্রেনে। গুজরাত থেকেও সরবরাহ বেড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, গরুর দুধের ঘি শরীরের তাপমাত্রা রক্ষা ছাড়াও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। ট্রেনে ভোগ্যপণ্য পরিবহণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি রেলকর্তারা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)