প্রতীকী ছবি।
আজ নিয়ে টানা চার দিন ভারতে পেট্রল, ডিজেলের দামে বিন্দুমাত্র নড়াচড়া হল না। কলকাতায় আইওসি-র পেট্রল পাম্পে জ্বালানি দু’টি বিক্রি হচ্ছে লিটার পিছু যথাক্রমে ৭২.২৯ ও ৬৪.৬২ টাকা দামে। তবে যে অশোধিত তেল থেকে এই পেট্রল, ডিজেল তৈরি হয়, এই ক’দিনে তার দাম বিশ্ব বাজারে তলিয়ে গিয়েছে দেড় দশকেরও বেশি সময়ের নীচে। বহু বছর পরে এই প্রথম ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল পিছু নেমেছে প্রায় ২৪ ডলারে। পরে উঠে হয় ২৫.৯২ ডলার। মার্কিন ক্রুড ২০০২ সালের পরে প্রথম বার হয়েছে ২৪.১৩ ডলার।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, অশোধিত তেলের দাম বাড়লে পেট্রল-ডিজেলে তার ছাপ পড়তে অনেক সময় এক দিনও গড়ায় না। অথচ এখন যখন অশোধিত তেলই দ্রুত ফিরে যাচ্ছে প্রায় দু’দশক পেছনে, তখন চার দিন ধরে দেশের বাজারে পেট্রোপণ্য একই দামে বিকোচ্ছে কেন?
প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম কমার আশা অবশ্য গত শনিবারই এক দফা ভেঙেছে। সকলে যখন ভাবছিল বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশেও তেল অনেক সস্তা হবে, তখন কেন্দ্র লিটারে ৩ টাকা করে শুল্ক বাড়িয়েছে। অথচ করোনার দাপটে বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতি যখন ক্ষত-বিক্ষত, তখন শুধু তেলেই কিছুটা ফায়দা তোলার পথ খুলেছে ভারতের সামনে। যাদের এই খাতে বিপুল আমদানি বিল গুনতে হয়। ভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বে তেলের চাহিদা কমায়, নামছে তার দাম। কিন্তু তার লাভ ভারতের মানুষের দরজায় সে ভাবে পৌঁছল কই, আক্ষেপ সকলেরই।