প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার থাবা যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই আশঙ্কা বাড়ছে ভারতকে নিয়ে। এপ্রিল-জুনে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি রেকর্ড তলিয়ে যাওয়ার পরে সোমবার জাপান ও তাইল্যান্ড জানিয়েছে, ওই সময়ে তাদের জিডিপি সঙ্কুচিত হয়েছে যথাক্রমে ২৭.৮% এবং ১২.২%। আর আজই স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপের পূর্বাভাস, ভারতের ক্ষেত্রে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচনের হার দাঁড়াতে পারে ১৬.৫%। ওই হার মে মাসের ২০ শতাংশের পূর্বাভাসের তুলনায় ভাল হলেও, গ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ার হাত ধরে যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
কেন্দ্র অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরার দাবি করলেও বিভিন্ন মহল বলছে, বাড়তে থাকা সংক্রমণের ফলে সেই লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। অতিমারি ও তার জেরে হওয়া লকডাউনের জেরে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি সঙ্কোচন যে হবেই, তা নিয়ে দ্বিমত নেই আইএমএফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতো উপদেষ্টা সংস্থার ধারণা, এপ্রিল-জুনে পতনের হার দাঁড়াতে পারে ৪৫ শতাংশে। যদিও এখনই ততটা আশাহত হতে নারাজ স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখাটি। কারণ, ইতিমধ্যেই যে সমস্ত সংস্থা গত ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই তা আশঙ্কার চেয়ে বেশ ভাল। ফলে করোনা ততটা ধাক্কা দেবে না বলেই মত তাদের। কিন্তু সেই সঙ্গেই গ্রামে সংক্রমণ রোখা না-গেলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
ইকোর্যাপের মতে, আগে যেখানে শহরে বেশি করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল, তার তুলনায় এখন গ্রামে অতিমারির থাবা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগার হাত ধরে রাজ্যগুলির জিডিপিতেও বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাদের ধারণা, বিশেষত অবস্থা খারাপ হতে পারে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ-সহ ১০টি রাজ্যের। যাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে ৭৩.৮%। আর সব রাজ্য মিলিয়ে ১৬.৮%। এই অবস্থায় বৃদ্ধির পালে গতি ফেরাতে আরও ত্রাণের পক্ষে সওয়াল করেছে গবেষণা শাখাটি।