প্রথমে বিভিন্ন রাজ্যে। এ বার কেন্দ্রীয় ভাবে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে দেশে। এই ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটির ধুম পড়ে গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চাল, ডাল-সহ পণ্য অত্যাবশ্যক তালিকাভুক্ত হলেও, অস্বাভাবিক কেনাকাটায় সেগুলির জোগান নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে। রান্নার গ্যাসও অত্যাবশ্যক পণ্যের তালিকায় রয়েছে। তবে তেল সংস্থাগুলির আশ্বাস, তাদের বটলিং প্ল্যান্টগুলি ঠিক মতোই চলছে। সিলিন্ডার বুক করলে যথাসময়ে মিলবে। গ্রাহকদের কাছে তাদের আর্জি, তাঁরা যেন এ নিয়ে আতঙ্কিত না-হন।
ইনডেন, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম জানিয়েছে, এখন গ্যাস বুক করার দু’তিন দিনের মধ্যে সিলিন্ডার সরবরাহ হচ্ছে। সে ভাবে বাড়তি বুকিংও হয়নি। সম্প্রতি তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আপতকালীন পরিস্থিতিতে কী ভাবে পদক্ষেপ করা হবে, কথা হয় তা নিয়েও।
সংস্থাগুলির কর্তারা জানান, এ রাজ্যে ইনডেনের ছ’টি বটলিং প্ল্যান্ট রয়েছে। সিকিম ও আন্দামানে রয়েছে আরও দু’টি। ভারত পেট্রোলিয়ামের রয়েছে তিনটি। আর হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের পাঁচটি। সবকটিতেই সংক্রমণ এড়াতে উপযুক্ত সুরক্ষা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে পুরোদমে কাজ চলছে। রাজ্যে ইন্ডেনের সিজিএম অভিজিৎ দে জানান, প্রয়োজনে বটলিং প্ল্যান্ট থেকে বাড়তি সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। গ্যাস বুকিং এবং সিলিন্ডারের দাম মেটানোর জন্য গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেনে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।