—প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি এবং চড়া সুদের জেরে গৃহঋণ শোধ করা কঠিন হচ্ছে বলে দাবি বহু ঋণগ্রহীতার। নির্মাতাদের আক্ষেপ, এই সব কারণেই সাধ্যের বা কম দামি বহু ফ্ল্যাট তৈরি হয়ে পড়ে আছে। বিক্রি হচ্ছে না। সমস্যা থেকে বেরোতে তারা বাজেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ গৃহঋণে বিশেষ সুদের সুবিধা চালুর দাবি তুলেছে। সওয়াল করেছে গৃহঋণের মূল টাকা এবং সুদে করছাড়ের সুবিধা বাড়ানোরও।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরিতে উৎসাহ জুগিয়ে অর্থনীতিকেও কিছুটা চাঙ্গা করা যায়। তবে সে জন্য আগে সেগুলির চাহিদা ফেরানো দরকার। তাতে ইস্পাত, সিমেন্ট, রঙের মতো শিল্পও উপকৃত হবে। কর্মসংস্থান বাড়বে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রোমোটারদের একাংশ বলছেন, ‘‘একটু দামি ফ্ল্যাটের চাহিদা আগের থেকে বেড়েছে। সেগুলির নির্মাণ বাড়িয়েছি। কিন্তু সে আর ক’টা। অল্প দামের ফ্ল্যাটই বেশি তৈরি হয়। সেগুলির চাহিদা না বাড়লে আবাসন শিল্পের সমস্যা বাড়বে। অবিলম্বে সরকারি সাহায্য দরকার।’’
নির্মাতাদের বার্তা, ‘‘শহরে প্রথম বার সাধ্যের আবাসন কিনতে ধার নিলে আবাস যোজনায় সুদে ৪% পর্যন্ত ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কিছু শর্ত আছে। ফ্ল্যাটের দাম ৩৫ লক্ষ টাকা এবং ঋণ ২৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে তা মেলে না। তা দেওয়া হয় ৮ লক্ষ টাকায়, ১২ বছর পর্যন্ত। শর্তগুলি শিথিল হোক।’’ সম্পত্তির মোট দামের তুলনায় ঋণ পাওয়ার শর্তও শিথিলের আর্জি জানিয়েছেন বেসিক হোম লোনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অতুল মোঙ্গা। তাঁর আরও দাবি, সাধ্যের আবাসনে বাড়তি সুবিধা দিয়ে বিক্রি বাড়াতে বরাদ্দ বাড়ুক বাজেটে।