গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
গুজরাতের বন্দর ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর একচেটিয়া প্রভাব গড়ে তুলতে সে রাজ্যের সরকার সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, যৌথ সংসদীয় কমিটিকে (জেপিসি) দিয়ে এর তদন্ত করানো না হলে সমস্যার সমাধান হবে না। হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডেও আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে জেপিসি তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দলটি। চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের উপরে।
বুধবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ এক সবিস্তার পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, গুজরাত সরকার সে রাজ্যের বন্দরের দায়িত্ব ৩০ বছরের জন্য বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ের মধ্যে সংস্থাগুলি বন্দর নির্মাণ এবং পরিচালনার কাজ করে। মেয়াদের শেষে সরকারকে সেই বন্দর ফিরিয়ে দেয়। এই শর্তের ভিত্তিতে এখন মুন্দ্রা, হাজ়িরা, এবং দেহেজ় বন্দর আদানিদের হাতে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আদানি পোর্টস সেই মেয়াদ আরও ৪৫ বছর বাড়ানোর জন্য গুজরাত সমুদ্র পর্ষদকে (জিএমবি) অনুরোধ জানায়। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ৭৫ বছর। যদিও ৫০ বছরের বেশি সময় কোনও সংস্থাকে দেওয়া হয় না। পরে গুজরাত সরকারও সুপারিশের সম্মতির জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। রমেশ লিখেছেন, ‘‘মোদী হ্যায় তো আদানি কে লিয়ে সব মুমকিন হ্যায়। সে কারণেই যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন।’’
রমেশের আরও দাবি, ঝড়খণ্ডে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বাংলাদেশকে বিক্রির জন্য, তা ভারতেও বিক্রির জন্য আদানিদের সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। তাঁর কথায়, ‘‘এটি একমাত্র সংস্থা (আদানি গোষ্ঠী) যাদের এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।