Congress-BJP

‘ভুগছেন মানুষ’, তির কংগ্রেসের

ধবার এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিচালনায় অর্থনীতিতে ‘চূড়ান্ত অব্যবস্থা’ তৈরি হয়েছে। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:২২
Share:

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

জিনিসপত্রের চড়া দাম, সাধারণ মানুষের মাথায় ঋণের বোঝা এবং শিল্প ঋণের বৃদ্ধি ক্রমাগত কমতে থাকা নিয়ে মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। হাতিয়ার করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অক্টোবরের প্রতিবেদনকে। বুধবার এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিচালনায় অর্থনীতিতে ‘চূড়ান্ত অব্যবস্থা’ তৈরি হয়েছে। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

সেপ্টেম্বরে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে নেমেছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস হালে একাধিক বার জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই হারকে ৪ শতাংশে নামানোই লক্ষ্য তাঁদের। ফলে সেই দিক থেকে মূল্যবৃদ্ধি এখনও চড়া। সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতাও বলছে, অক্টোবরে বাজারে ফের চড়েছে আনাজের দাম। কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক খাদ্যশস্য, ডাল এবং মশলার দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশের মানুষ ধারাবাহিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়ে চলেছেন। খাদ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের পক্ষে।’’

এ দিন রমেশের দাবি, শীর্ষ ব্যাঙ্কের সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশের মানুষের সঞ্চয় বৃদ্ধির হার ৪৭ বছরের তলানিতে। তাঁর বক্তব্য, গৃহ এবং গাড়ি ঋণ বৃদ্ধির ফলে এমন ঘটছে বলে অর্থ মন্ত্রক ব্যাখ্যা করতে চাইলেও তা ঠিক নয়। কারণ, শীর্ষ ব্যাঙ্কই গত মাসের প্রতিবেদনে স্বর্ণ ঋণের ২৩% এবং ব্যক্তিগত ঋণের ২৯% বৃদ্ধির কথা বলেছিল। যা মানুষের উপরে আর্থিক চাপ বৃদ্ধির ফল। শীর্ষ ব্যাঙ্কের এ মাসের প্রতিবেদন এই সমস্যাকে আরও বেশি করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। জানিয়েছে, গত অগস্টে মোট ঋণ বৃদ্ধিতে ব্যক্তিগত ঋণের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তা বেড়েছিল ২৩% হারে। স্বর্ণ ঋণ ২২% হারে বেড়েছিল। রমেশ বলেছেন, ‘‘মোদী সরকার পরিসংখ্যান চেপে যতই মানুষের চোখে ধুলো দিতে চেষ্টা করুক, তথ্য কখনও মিথ্যা কথা বলে না। অর্থনীতি চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে। মাসুল গুনতে হচ্ছে দেশবাসীর বড় অংশকে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement