গৌতম আদানি। ফাইল ছবি।
কারচুপি করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম বাড়ানোর অভিযোগের কেন্দ্রে গৌতম আদানির দাদা বিনোদের নাম উঠে এসেছে। তা নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন বিরোধীরা। রবিবার টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, এই ঘটনাও কি সেবি এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ইডি) তদন্তের যোগ্য নয়? আজই অবশ্য নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার এবং ডিএলএফ গোষ্ঠীর কে পি সিংহের দাবি, কোনও একটি শিল্প গোষ্ঠীর এই ঘটনা ভারতের উপরে প্রভাব ফেলবে না।
টুইটে ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ নামের সিরিজ়ে রমেশের তোপ, গোষ্ঠীর সংস্থায় বেআইনি কাজে বিনোদের ভূমিকা নিয়ে ‘মিথ্যা বলেছে’ আদানিরা। তাঁর কটাক্ষ ‘‘প্রধানমন্ত্রী ‘মৌনি বাবার’ মতো চুপ করে রয়েছেন (যেমন ছিলেন চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে)। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা প্রশ্ন করা বন্ধ করব।’’ এই প্রসঙ্গেই বিনোদ আদানির বিদেশে লেনদেনকে তুলে এনে তাঁর অভিযোগ, চুক্তির কথা না-জানিয়েই কোটি কোটি ডলার লেনদেন করেছেন গৌতম আদানির দাদা।
এর আগে অবশ্য ২৯ জানুয়ারি বিনোদ আদানি গোষ্ঠীতে কোনও ম্যানেজার পদে নেই বা তাদের সংস্থার দৈনন্দিন কাজকর্মে অংশ নেন না বলে দাবি করেছিল তারা। রমেশের বক্তব্য, আদানিরা এখন বিনোদের থেকে নিজেদের দূরে সরাতে চাইলেও, বিভিন্ন সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া তথ্যেই তাঁকে গোষ্ঠীর অংশ বলে জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা কেন মিথ্যা বলছে’ সেই প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস নেতার তোপ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম এবং যে সমস্ত শিল্পপতিরা কেন্দ্রের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন কি তাদের দিয়ে ‘বন্ধু শিল্পপতির’ বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করানো হবে?
এ দিকে আদানি কাণ্ড ভারত তথা দেশের শিল্প মহলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মহলই। এ প্রসঙ্গে রাজীব কুমারের যদিও বক্তব্য, দেশে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বহু সংস্থা রয়েছে। ফলে একটি গোষ্ঠীর বিরূপ প্রভাব ভারতের উপরে পড়বে না। একই কথা জানিয়ে ভবিষ্যতে আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ কমানো এবং পুঁজি জোগাড়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিংহ।