বিএসএনএল ও এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ দিন টালবাহানা চলছে।
ফেব্রুয়ারি ও জুলাইয়ের পরে অগস্ট। রীতি মেনে বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মী-অফিসারদের অগস্টের বেতন আজ, শনিবার মাসের শেষ দিনেই মিলবে কি না, আর্থিক সঙ্কটের জেরে তা নিয়ে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রের খবর। বেতন না-পেলে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে কর্মী ও অফিসারদের সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএলের (এইউএবি)।
সংস্থার এক পদস্থ কর্তা শুক্রবার জানান, মাসে আয় প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু বেতন ছাড়াও সুদ মেটানো-সহ নানা দায় রয়েছে। তাই বেতন বণ্টন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে অগস্টের বেতন পেতে ক’দিন দেরি হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট জানাননি তিনি। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এ নিয়ে তারা সংস্থারটির এমডি পি কে পুরওয়ারকে বার্তা পাঠালেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগে সংস্থায় ফেব্রুয়ারির বেতন হয় মার্চের মাঝামাঝি। কর্মী-অফিসারেরা জুলাইয়ের বেতন পান অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। অগস্ট বাদে ঠিকা কর্মীদের বেতনও বকেয়া প্রায় সাত মাস। ক্যালকাটা টেলিফোন্স সূত্রের খবর, তাদের প্রায় ৪,৮০০ কর্মীর বেতন-সহ ঠিকাদারদের পাওনা মেটাতে মাসে প্রায় ১৪ কোটি টাকা দরকার হলেও সম্প্রতি সদর দফতর থেকে মিলেছে ১.৯০ কোটি।
এইউএবির আহ্বায়ক পি অভিমন্যুর তোপ, ‘‘কেন্দ্রের কাছে সংস্থার বিপুল বকেয়া। তার উপরে পেনশনের নামে ২০০৭ সাল থেকে বছরে ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি আদায় করেছে।’’ কেন্দ্র বিএসএনএলের প্রাপ্য ঠিক সময়ে না মেটালে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
বিএসএনএল ও এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ দিন টালবাহানা চলছে। মাঝে দ্রুত সঙ্কট মেটানো ও পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের আশ্বাস দিলেও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। বরং অনিশ্চয়তার জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।