Unemployment

নতুন সরকারের কাঁটা বেকারত্ব, গ্রাম ও মূল্যবৃদ্ধিই

এ বার ভোটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল বেকারত্ব এবং তাকে ঘিরে দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪ ০৭:০৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গত অর্থবর্ষে প্রত্যাশা ছাপানো আর্থিক বৃদ্ধি (৮.২%), উঁচু কর সংগ্রহ বা উৎপাদনে অগ্রগতির সুবিধা মিলবে ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে চড়া বেকারত্ব, গ্রামাঞ্চলে চাহিদার অভাব, পণ্যের দাম নতুন সরকারের কাজ কঠিন করবে বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার ছক কষে বাকি সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন্দ্রকে। উপরন্তু জোট সরকার হওয়ায় সংস্কারের পথেও বাধা তৈরি হতে পারে।

Advertisement

এ বার ভোটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল বেকারত্ব এবং তাকে ঘিরে দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ। তার সঙ্গে খাদ্য-সহ জরুরি পণ্যের মাত্রাছাড়া দামে সাধারণ মানুষের দুর্দশা নিয়েও আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সব কিছুর প্রভাব কিছুটা হলেও দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের ফলে। বিশেষত উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে, যেখানে বিজেপি ২০১৯ সালের থেকে অনেকটাই আসন কম পেয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এ বারের ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য তাদের নির্ভর করতে হবে শরিকদের উপরে। ফলে বেসরকারিকরণ, বিলগ্নিকরণ, শ্রম নীতি বদলের মতো বড় মাপের সংস্কার করা সহজ হবে না সরকারের পক্ষে। যা অর্থনীতির দোলাচল বাড়াবে। ধাক্কা লাগতে পারে লগ্নিকারীদের আস্থাতেও।

Advertisement

তবে আগামী দিনে পরিকাঠামো নির্ভর আর্থিক বৃদ্ধি, লগ্নিকারীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা বিভিন্ন নীতি এবং ব্যবসার পরিবেশ আরও সহজ করার মতো নানা সরকারি সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ও উৎপাদন শিল্প সে ক্ষেত্রে সহায়কের ভূমিকা নিতে পারে। যাতে ভর করে ২০৪৭-এর মধ্যে উন্নত দেশ হতে পারে ভারত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement