—প্রতীকী চিত্র।
উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪৫.৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু। বললেন, এই হার আশঙ্কাজনক। যে সমস্ত দেশে বেকারত্বের হার সব থেকে চড়া, তার মধ্যে একটি। রাজনীতির খাতিরে এমন বাস্তব লুকিয়ে না রেখে কার্যকরী পদক্ষেপ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সমাজমাধ্যম এক্স-এ বর্তমানে কর্নেল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির এই অধ্যাপক ওই হার তুলে ধরে লেখেন, ‘‘এটা (বেকারত্ব) গভীর ক্ষতি করে দিচ্ছে। দেশের স্বার্থে আমাদের তা স্লোগানের আড়ালে লুকিয়ে রাখা উচিত নয়। রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে রাখা এবং সঠিক পদক্ষেপ করা অত্যন্ত জরুরি।’’
চলতি ভোটে চড়া বেকারত্ব মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র। অর্থনীতিবিদেরাও বিষয়টি নিয়ে সাবধান করছেন বহু দিন ধরে। তবে সরকারি পরিসংখ্যান সম্প্রতি জানিয়েছে, এই হার কমছে। মাস কয়েক আগে অবশ্য কৌশিক বিশ্ব অর্থনীতি সংক্রান্ত বিশ্লেষণমূলক ওয়েবসাইট ‘দ্য গ্লোবাল ইকনমি ডট কম’-এ প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেছিলেন, সমাজের একটা বড় অংশের হাতে কাজ না
থাকা ভারতে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। কর্মসংস্থানহীন আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে অতীতে সতর্ক করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও।
তবে কৌশিকের এ দিনের পোস্ট নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের একাংশকে। তাঁদের বক্তব্য, এই তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং অর্ধসত্য। ৪৫.৪% বেকারত্ব ২০-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে। যে বয়সে বেশির ভাগই আরও বেশি পড়াশোনা করতে চায়। ৩০ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে তা ২%। এর মানে, উচ্চশিক্ষা শেষ করার পরে অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন।