—প্রতীকী চিত্র।
পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে, মাত্র ০.৭৩%। তবু সোমবার দেশ জুড়ে উদ্বেগ বাড়াল ডিসেম্বরে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির এই হার। যা ন’মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি তো বটেই। তার উপর মূল্যসূচকটির ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রধান কারণ সেই খাদ্যপণ্যের চড়তে থাকা দাম। এই মুহূর্তে যা সাধারণ মানুষের সব থেকে বড় মাথাব্যথা। ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে অন্যতম কাঁটা মোদী সরকারেরও।
দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি অনেক দিন ধরেই চড়া। কিন্তু পাইকারিতে বেশ কিছু দিন (গত এপ্রিল-অক্টোবর) তা ছিল শূন্যের নীচে। অর্থাৎ, পণ্যের দাম কমছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, সেখান থেকে তাকে ঠেলে তুলছে মূলত খাদ্যপণ্য। ডিসেম্বরে যার মূল্যবৃদ্ধির হার ৯.৩৮%। পাইকারি মূল্যসূচকের হিসাবে যেগুলির গুরুত্ব সর্বাধিক, সেই ধান, গম এবং আনাজের দর বিপুল চড়েছে। আনাজের মূল্যবৃদ্ধি ২৬.৩০%, ডালের ১৯.৬০%, ধানের ১০.৫৪%। পেঁয়াজের ৯১.৭৭%।
গত মাসের খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও চার মাসে সর্বোচ্চ, ৫.৬৯%। খাদ্যপণ্যে তা ৯.৫৩%। আইআইটি পটনার অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, খুচরো বাজারে দাম বাড়লে তার প্রভাব সরাসরি ক্রেতার উপরে পড়ে। ওই সূচকের অর্ধেকই খাদ্যপণ্য। তাই সেগুলি বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি দ্রুত মাথা তোলে। পাইকারিতে খাদ্যপণ্যের গুরুত্ব প্রায় ২৫%। তাই সেগুলির দাম চড়লেও, সার্বিক মূল্যসূচক বেড়েছে কম। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের মন্তব্য, কেন্দ্র চেষ্টা করেও খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে পারছে না। আখেরে যা সাধারণ মানুষেরই দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।