—প্রতীকী চিত্র।
বছর তিনেকের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চায় মোদী সরকার। হয়ে উঠতে চায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সম্প্রতি পরামর্শদাতা সংস্থা অবজ়ার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) জানিয়েছে, এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে বেকারত্বের হার এখনকার তুলনায় ৯৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৩.৬৮ শতাংশে নামতে পারে। ২০২৪ সালের শেষে যা হতে পারে ৪.৪৭%। তবে এর পাশাপাশি সংস্থাটি এ-ও জানিয়েছে, বেকারত্ব কমানোয় পরিষেবা ক্ষেত্রের যে অবদান থাকবে, তার সঙ্গে সঙ্গত করতে পারবে না উৎপাদন ক্ষেত্র। আমেরিকায় পণ্য রফতানি বৃদ্ধি কিংবা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে জোর সত্ত্বেও।
সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট আউটলুক ২০৩০’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওআরএফ। যা বলছে, ‘‘অতিমারি পার করে ভারত দ্রুততম বৃদ্ধির বৃহৎ অর্থনীতির শিরোপা দখল করেছে। সেই সঙ্গে এ দেশের কাজের বাজারের ধরনেও বদল এসেছে। আর্থিক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি এখন যুব সম্প্রদায়, যাদের গড় বয়স এখন ২৮.৪ বছর। বার্ষিক আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৮% ধরে হিসাব কষলে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতের ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছনোর কথা। যার ভিত্তি হবে দেশের বাজারের চাহিদা এবং সরকারি খরচ।’’ রিপোর্টে দাবি, এই সময়ের মধ্যে দেশে কাজ তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে পরিষেবা। বিশেষত ডিজিটাল, আর্থিক, স্বাস্থ্য, আতিথেয়তা, বিকল্প বিদ্যুৎ, ই-কমার্সের মতো ক্ষেত্র। যেগুলির মাধ্যমে মহিলাদের বিপুল কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বেকারত্ব কমানোয় উৎপাদন ক্ষেত্রের ভূমিকা নিয়ে আশার কথা শোনায়নি সংস্থাটি। মানবসম্পদ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিচু খরচ, কেন্দ্রের উৎসাহ প্রকল্প সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত উৎপাদনে বেশি করে কাজ তৈরির লক্ষণ দেখা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন আর্থিক বৃদ্ধির সুষম বণ্টন এবং ভাল মানের কাজ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা। না হলে অর্থনীতির বহর বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তার সুফল পৌঁছবে না। ঠিক যে কথা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও সম্প্রতি বলেছেন।