GST Compensation

রাজ্যকে বোঝানোর চেষ্টা চলবে

কেন্দ্রের হিসেব, চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা কম আয় হতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৫:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতির একাংশ মেটানোর জন্য কেন্দ্র নিজেই বাজার থেকে ধার করার আশ্বাস দিলেও, সেই প্রস্তাবে এখনও বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির সম্মতি আদায় করা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে প্রকল্পটির ব্যাপারে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে জানিয়েছেন, অর্থনীতির উপর ঋণের কতটা ও কেমন প্রভাব পড়তে পারে, সেটা বুঝেই তার অঙ্ক ঠিক করা উচিত। বিরোধী রাজ্যগুলিও যাতে ঋণ নেয়, তা নিয়ে কথা চালিয়ে যাওয়া হবে।

Advertisement

কেন্দ্রের হিসেব, চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির ১.৮৩ লক্ষ কোটি টাকা কম আয় হতে পারে। এর মধ্যে ১.১ লক্ষ কোটি লকডাউনের কারণে। তা-ই রাজ্যগুলির হয়ে কম সুদে বাজার থেকে ধার করা শুরু করেছে তারা। পাণ্ডে জানান, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের প্রকল্পে ২১টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাজি হয়েছে। কেন্দ্র বা রাজ্য কাউকেই এই ঋণের সুদ বা আসল মেটাতে হবে না। ২০২২ সালের জুনের পরেও বিলাসবহুল ও ক্ষতিকারক পণ্যের উপরে সেস আদায় চালু থাকবে। তা দিয়ে মেটানো হবে ধার। সেস সংগ্রহের অঙ্কের উপরে ভিত্তি করে ঠিক হবে ঋণের মেয়াদ ও কিস্তির অঙ্ক।

যদিও বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির দাবি, পুরো ১.৮৩ লক্ষ কোটিই ধার করা উচিত কেন্দ্রের। লকডাউনের কতটা ক্ষতি কারণে হয়েছে ও কতটা জিএসটি রূপায়ণের ফলে, রাজ্যগুলির ক্ষতি মেটানোর ক্ষেত্রে এই হিসেব কষা আইনবিরুদ্ধ এবং অসাংবিধানিক। এর প্রেক্ষিতে পাণ্ডের বক্তব্য, রাজ্যগুলির সঙ্গে ফের কথা বলবে কেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement