নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
সারা দেশের মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে বাজেটে এনপিএস বাৎসল্য প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার নাবালকদের জন্য নির্ধারিত সেই প্রকল্প চালু করল মোদী সরকার। যার উদ্বোধন করেন নির্মলা। যেখানে অভিভাবকেরা নাবালক সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই জাতীয় পেনশন প্রকল্প (এনপিএস) অ্যাকাউন্টে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। সন্তান সাবালক হওয়ার পরে তা সরাসরি বদলে যাবে সাধারণ এনপিএসে। পেনশন ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ-র তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।
এ দিন এনপিএস বাৎসল্যের সাধারণ রূপরেখা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, সন্তানের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত অভিভাবক বছরে ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে জমা দেবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েও তা-ই। সেই জমা পুঁজি বিনিয়োগ করা হবে শেয়ার ও ঋণপত্রে। পছন্দমতো লগ্নি প্রকল্প বেছে নেওয়া যাবে। তা না করলে নির্দিষ্ট একটি প্রকল্প রয়েছে যেখানে পুঁজি জমা হবে। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলে তহবিল তুলে নিতে কিংবা অ্যানুইটি কিনে পেনশনের ব্যবস্থা করতে পারবে। চাইলে প্রকল্পটি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চালানোও যাবে। ব্যাঙ্ক, ডাকঘর ও অনলাইনে কেনা যাবে এনপিএস বাৎসল্য। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘এনপিএস থেকে আয় বাজারে চালু জমা প্রকল্পগুলির তুলনায় ভাল। এখানে লগ্নি করে অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতের আয়ও নিশ্চিত করা সম্ভব।’’
এনপিএস বাৎসল্যকে স্বাগত জানিয়েছেন পেনশন বিশেষজ্ঞেরা। এনপিএস অছি পরিচালন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অতনু সেন বলেন, ‘‘সামাজিক সুরক্ষার উপায় হিসেবে অবসরের পর সকলকেই পেনশনের আওতায় আনতে চায় সরকার। বাৎসল্য প্রকল্পের মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই পেনশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। খুব কম বয়স থেকে শুরু করলে অবসরের পরে মোটা পেনশন পাওয়া সম্ভব।’’ তা ছাড়া এটি একটি ভাল জমা প্রকল্প এবং অতিরিক্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে বলেও জানান অতনুবাবু।
সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে দু’টি বিকল্প থাকবে। প্রথমটি হল, প্রকল্পে জমা টাকা ২.৫ লক্ষের মধ্যে থাকলে পুরোটাই তুলে নেওয়া যাবে। বেশি হলে ২০% তুলে নিয়ে বাকি ৮০% দিয়ে অ্যানুইটি প্রকল্প কিনে পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয় বিকল্পটি হল, প্রাপ্তবয়স্ক গ্রাহক নিয়মিত টাকা জমা দিয়ে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রকল্প চালিয়ে যেতে পারবেন।