—প্রতীকী ছবি।
গত বছর করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরে ধীরে হলেও ছন্দে ফিরছিল ব্যবসা-বাণিজ্য। কার্যত বসে যাওয়া বহু শিল্পের ব্যবসার চাকাও ঘুরতে শুরু করেছিল। কিন্তু তা উচ্চতায় ওঠার আগেই হানা দিয়েছে দ্বিতীয় দফা। তার উপরে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনাকে ঘিরে। বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি সেই ঢেউয়ের মোকাবিলায় কী করা দরকার, তার সার্বিক ছক (চেক লিস্ট) তৈরি করতে শিল্পকে পরামর্শ দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তবে তার আগে কেন্দ্রের কাছে ফের ত্রাণের সওয়াল করেছে শিল্প। বিভিন্ন রাজ্যে আংশিক লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হওয়ায় বণিকসভা ফিকির আর্জি, ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্রের থেকে কর্মীদের বেতন-সহ নানা আর্থিক সাহায্য জরুরি।
বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি বুঝতে সম্প্রতি বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন গয়াল। সূত্রের খবর, সংক্রমণ ও লকডাউনে শিল্প বিপুল ধাক্কা খেয়েছে। উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে চিকিৎসায় অক্সিজেন জোগান, কর্মীদের সংক্রমণ বৃদ্ধি ইত্যাদিরও। এই অবস্থায় শিল্পকে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথে হাঁটার ছক কষতে বলেন গয়াল। পরে মন্ত্রক জানিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রেক্ষিতে সেই সার্বিক ছক তৈরি করতে বলেছেন মন্ত্রী।
কেন্দ্র যেমন শিল্পকে বার্তা দিচ্ছে, তেমনই ত্রাণ চাইছে শিল্পমহলও। ক’দিন আগে অর্থ মন্ত্রকের করা কিছু পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। তবে বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের মতে, ব্যবসার চাকা ঘোরাতে বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। রাজকোষ ঘাটতি বা আর্থিক সমস্যার কথা মেনেও সে জন্য চাই সরকারের সাহায্য। তাদের আর্জি, ইএসআই তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থে কর্মীদের বেতন বা ত্রাণ দেওয়া হোক। ছোট শিল্পের জন্য আগামী মার্চ পর্যন্ত চালু হোক সুদে ভর্তুকি। রেস্তরাঁ-কে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের সুবিধা দেওয়া এবং আবাসনের চাহিদা বাড়াতে স্ট্যাম্প ডিউটি হ্রাস, তিন বছরের জন্য অর্ধেক সম্পত্তি করের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।