প্রতীকী ছবি।
দেশীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিতে বস্ত্র শিল্পে আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার লোকসভায় বিজ্ঞপ্তি পেশ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩২৮টি পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
নোটবন্দি ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছিল ছোট, মাঝারি শিল্পগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের সুরাতে বস্ত্র শিল্পের কারবারিদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ই-ওয়ে বিলকে কেন্দ্র করে তা আরও বেড়েছে। ভোট বছরে সেই ক্ষোভে জল ঢালতে বহু পণ্যে জিএসটি কমানোর পর এ বার শ্রম নিবিড় বস্ত্র শিল্পের দিকেও নজর দিল কেন্দ্র।
পণ্যগুলির আমদানি শুল্ক ১০% থেকে ২০% করা হয়েছে। আশা, এর ফলে দেশীয় উৎপাদন বাড়তে পারে। ফলে বাড়তে পারে কর্মসংস্থানও। উল্লেখ্য, গত মাসে জ্যাকেট, স্যুট, কার্পেট-সহ ৫০টির বেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র কর্মসংস্থানের খারাপ পরিস্থিতি। সরকারি পরিসংখ্যানই সেই অস্ত্রকে আরও শক্তিশালী করেছে। এরই মধ্যে ১০.৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে থাকা বস্ত্র শিল্পে অসন্তোষ ছড়ানোয় কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়ছিল। সেই অসন্তোষ কমানোরই পদক্ষেপ করল সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বস্ত্র শিল্পের রফতানিতে উৎসাহ ভাতা দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ঘুরপথে তাদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করল সরকার।
মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।