প্রতীকী ছবি।
করোনার হানায় শিল্পোৎপাদন ধাক্কা খেয়েছে দেশে। প্রথম দফার পরে পরিস্থিতি যখন ধাপে ধাপে স্বাভাবিকের পথে, তখনই দ্বিতীয় ঢেউ ফের কল-কারখানার উৎপাদনে ঘা দিয়েছে। গাড়ি কারখানাগুলির অবস্থাও একই। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের তথ্য বলছে, এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে দেশে গাড়ির উৎপাদন ৫৭% কমেছে। আর ডিলারদের কাছে সংস্থাগুলির পাইকারি বিক্রি কমেছে ৬৪.৫%। গাড়ি শিল্প মহলের বক্তব্য, সংক্রমণ ঠেকাতে বহু রাজ্যই পূর্ণ বা আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। ফলে কারখানা যেমন বন্ধ ছিল, তেমনই ঝাঁপ খোলেনি বহু শোরুমের।
এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে সার্বিক ভাবে শোরুম থেকে গাড়ি বিক্রি প্রায় ৫৫% কমার কথা আগেই বলেছে ডিলারদের সংগঠন ফাডা। ডিলারদের সুবিধা দিতে আর্জি জানিয়েছে ৯০ দিন পর্যন্ত ঋণ শোধে স্থগিতাদেশ দেওয়ার।
শুক্রবার সিয়ামের তথ্য বলছে, কার্যত একই পাইকারি ব্যবসার অবস্থাও। এপ্রিলের চেয়ে গত মাসে যাত্রি গাড়ির বিক্রি কমেছে ৬৬%। সংক্রমণ এড়াতে যে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি বেড়েছিল, তা-ও কমেছে ৬৫%।
দু’টি ক্ষেত্রেই উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ৫৮% করে। সিয়ামের ডিজি বিষ্ণু মাথুরের বক্তব্য, লকডাউনে মে-র অধিকাংশ সময় কারখানা ও ব্যবসা বন্ধ থাকায় উৎপাদন, ধাক্কা খেয়েছে বিক্রি। চিকিৎসার অক্সিজেন জোগাতে কারখানা বন্ধ রেখেছিল বহু সংস্থা।
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রেতারাও জরুরি জিনিসপত্র ছাড়া কেনাকাটার ক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে রেখেছেন। তার ছাপ পড়ছে গাড়ি ব্যবসায়। জিডিপি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে গাড়ি শিল্পের উল্লেখযোগ্য অংশীদারি থাকায় দেশের অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়ছে।