ফাইল চিত্র।
পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বিএসএনএল-কে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আর্থিক সমস্যার জেরে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটিতে মাঝে মধ্যেই বেতন বাকি পড়ছে। আর সারা দেশে ঠিকা কর্মীরা বেতন পাননি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে। সংস্থার দাবি, মাঝে দু’মাস বেতন দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার ঠিকা কর্মীদের একটি ইউনিয়নের তরফে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। তাঁর দাবি, আইন অনুযায়ী ঠিকাদারদের বকেয়া বেতনের দায় মূল সংস্থার উপরেই বর্তায়। বিচারপতি শেখর বি সরাফ পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সেই বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিএসএনএল-কে। কলকাতা শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যালটেল) সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, বিষয়টি সদর দফতরকে জানাবেন।
অন্য দিকে, সংস্থা পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে ৫০ বছরের বেশি বয়সি কর্মী ও আধিকারিকদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) চালু করেছে বিএসএনএল। ইতিমধ্যেই তাতে প্রায় ৭৯ হাজার প্রস্তাব জমা পড়েছে। বিশ্বজিৎবাবু জানান, কর্মী কমার পরে কী ভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা চালু রাখা যায়, তার প্রাথমিক পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে ক্যালটেল। ক্যালটেলে কর্মী-আধিকারিক প্রায় ৪৪০০ জন। ভিআরএস নেওয়ার পরে তা ২৪০০-র আশেপাশে দাঁড়াতে পারে। তখন নতুন সংযোগ দেওয়া, ফোন স্থানান্তর-সহ বিভিন্ন কাজ যাতে পরিষেবা কেন্দ্রই অনেকটা সেরে ফেলতে পারে, সে জন্য তাদের বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হবে। আউটসোর্সিংও করা হবে কিছু কাজ। এখন এই শাখার অধীনে ১০টি আঞ্চলিক অফিসে গ্রাহক পরিষেবার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজও চলে। ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কাজ হবে চারটি অফিসে। তবে ১০টিতেই গ্রাহক পরিষেবার কাজ চলবে।
ক্যালটেলের দাবি, ট্রাইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতায় তাদের পরিষেবার মান বেড়েছে। ৪জি স্পেকট্রাম পাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে অন্তত ১০০টি ৪জি টাওয়ার চালু হবে। ল্যান্ডলাইনের গ্রাহক টানতে কিছু সুবিধাও চালু হয়েছে।