অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি পিটিআই।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটেই জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা। সোমবার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময়েও বলেন, ঋণের ভারে জর্জরিত বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির সংস্কার নিশ্চিত করলে রাজ্যগুলিকে রাজ্যের জিডিপি-র ০.৫% বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করা হবে। তার পরেই বুধবার সংস্থাগুলির দক্ষতা বৃদ্ধির যুক্তি তুলে ধরে শর্তসাপেক্ষে পাঁচ বছরের জন্য ৩.০৩ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি।
বুধবার বৈঠকের পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বণ্টনে বহু সংস্কার করেছি। তা শক্তিশালী করা জরুরি। আজ মন্ত্রিসভা ৩.০৩ লক্ষ কোটির নতুন প্রকল্পে সায় দিয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৯৭,০০০ কোটি টাকা।’’ বণ্টন ক্ষেত্রে সংস্কার পর্ব চললেও তাঁর মতে, তার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হল সামঞ্জস্য রেখে শক্তপোক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা।
তবে প্রকল্পের মূল বিষয় হল, অর্থ বরাদ্দ হবে শর্তসাপেক্ষে। বলা হয়েছে, সকলের জন্য তা এক নয়, রাজ্য ভিত্তিক আলাদা করে বিষয়টি দেখা হবে। কারণ, প্রকল্পের সুযোগ নিতে হলে রাজ্যগুলিকে কিছু আগাম শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন, অডিট হওয়া আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশ, বণ্টন সংস্থাকে রাজ্যের বকেয়া মেটানো ইত্যাদি। লোকসানে চলা বণ্টন সংস্থা ক্ষতি কমানোর পরিকল্পনা তৈরি করে তা রাজ্যকে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে কেন্দ্রকে জমা না-দিলে অর্থ পাবে না। চালু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ২৫ কোটি স্মার্ট মিটার, ১০,০০০ ফিডার ও ৪ লক্ষ কিমি লো-টেনশন ওভারহেড লাইন তৈরির মতো লক্ষ্য রয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্র চায় ৫ বছরে প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক ক্ষতি ১২ শতাংশে নামাতে।