প্রতীকী ছবি।
শেষ পর্যন্ত অগস্টের বেতন পেলেন বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মীরা। যদিও ঠিকাকর্মীদের কয়েক মাসের বেতন এখনও বাকি। এর আগে সংস্থার স্থায়ী কর্মীদের ফেব্রুয়ারি ও জুলাইয়ের বেতনও কিছু দিন বকেয়া পড়েছিল। কিন্তু তা মেটাতে এ বারের মতো এত দেরি হয়নি। সংস্থার চেয়ারম্যান পি কে পুরওয়ার বলেন, সংস্থার নিজস্ব আয় থেকেই বেতন দেওয়া হয়েছে।
অগস্টের বেতন অবশেষে দেওয়া হলেও, ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে, পুজোর সময়ে সেপ্টেম্বরের বেতন ঠিক সময়ে মিলবে তো?
সংস্থা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে তীব্র মাসুল যুদ্ধের জেরে অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএলের আয়ও অনেক কমেছে। বস্তুত, তা প্রায় অর্ধেক হয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, সংস্থা পুনরুজ্জীবনের জন্য কেন্দ্র বার বার আশ্বাস দিলেও তা নিয়ে টালবাহানা করছে। পাশাপাশি বিএসএনএলকে ঋণ নিতেও ছাড়পত্র দিচ্ছে না। অথচ, বেসরকারি টেলি সংস্থাগুলির তুলনায় বিএসএনএলের ধার অনেক কম। কর্মী ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে ‘ইচ্ছে’ করে আর্থিক সঙ্কটের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে।