প্রতীকী ছবি।
সম্পত্তি থেকে বাড়তি আয়ের সূত্র খুঁজে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএসএনএল।
পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের আওতায় খরচ বাঁচাতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি সম্প্রতি কর্মীদের একাংশকে ভিআরএস দিয়েছে। আয় বাড়াতে বাজারে বন্ড ছাড়ার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত জমি বিক্রির পরিকল্পনাও করেছে। আর এ বার খালি অফিস ও কর্মী-আবাসন ভাড়া দেওয়ার সার্বিক নীতি আনল তারা। ভাড়া নিতে পারবে সরকারি, বেসরকারি দু’ধরনের সংস্থাই। মঙ্গলবার সব সার্কলকে সেই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সদর দফতর।
সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার বলেন, ‘‘ভিআরএসের পরে কর্মী অর্ধেক হয়েছে। আধুনিক সরঞ্জামের দৌলতে বহু টেলিফোন এক্সচেঞ্জের বহরও কমেছে। ফলে খালি পড়ে আছে জায়গা। সেগুলিকেই ভাড়া দিলে আয় বাড়বে।’’ বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল জানান, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সার্কলগুলিকে সদর দফতরের নির্দেশের অপেক্ষা করতে হয়। সার্বিক নীতিটি আসায় সার্কলেও কী ভাবে কমিটি গড়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, তা স্পষ্ট হল।
ভাড়া মিলবে
• বিএসএনএলের অফিস, কর্মী-আবাসন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কনফারেন্স হল, প্রযুক্তি ভবন, হস্টেল, কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব।
• স্বল্প মেয়াদে (অর্ধেক দিন থেকে ১১ মাস)
বা পার্ট-টাইমে (চার ঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য)।
ভাড়া পাবে
• কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি অফিস বা অধীনস্থ সংস্থা, স্বশাসিত সংস্থা, বিভিন্ন পর্ষদ ও পরিষদ, সাংবিধানিক সংস্থা, বিচার বা আধা বিচার সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক সংস্থা।
• মেট্রো ও বিভিন্ন শহরে ব্যবসার অঙ্কের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করা বেসরকারি সংস্থা।