প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে দ্রুত পড়ছে অশোধিত তেলের দর। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল নামল ৯৩.৮১ ডলারে। যা গত ২১ ফেব্রয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হানার পরে সর্বনিম্ন। আর এক অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই হল ৮৮ ডলার। একাংশের দাবি, মূলত আমেরিকা-ইউরোপে মন্দার আশঙ্কায় চাহিদা কমতে পারে বলে ধারণা। তাই পড়ছে দাম। অনেকের মতে, আমেরিকায় জ্বালানির মজুত ভান্ডার প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হওয়া অন্যতম একটি কারণ। তবে ভারতের মতো তেলের আমদানি নির্ভর দেশের কাছে এটা সুখবর। দরের নিম্নমুখী গতি অব্যাহত থাকলে দেশে পেট্রল-ডিজ়েল বা রান্নার গ্যাসের দাম কমবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, অশোধিত তেলের দাম বাড়লে পেট্রল-ডিজ়েল যত তাড়াতাড়ি দামি হয়, উল্টোটা হলে দাম তত দ্রুত কমে না। তার উপরে দাম কমার ধারা কত দিন বহাল থাকবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেক-কে জোগান বাড়াতে বলেছিলেন। হয়েছে উল্টোটা। রাশিয়া-সহ বৃহত্তর ওপেক গোষ্ঠী জুলাই-অগস্টের থেকে সেপ্টেম্বরে জোগান কম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে দাম ফের বাড়বে কি না, সেই প্রশ্নও থাকছে। ফলে আগামী কয়েক দিন অশোধিত তেলের দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।