—প্রতীকী ছবি।
বিটকয়েন গ্রাহকদের ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’! প্রথমবার এক লক্ষ ডলার অতিক্রম করল এই ক্রিপ্টো মুদ্রার মূল্য। চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই হু হু করে চড়ছে এই ডিজিটাল মুদ্রার দর। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) জানুয়ারিতে শপথ নেবেন তিনি। আর আগে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছল এই বিটকয়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিটকয়েন-সহ যাবতীয় ক্রিপ্টো মুদ্রার অতি বড় সমর্থক। কুর্সিতে বসেই এই ধরনের ডিজিটাল মুদ্রাগুলির ব্যাপারে নতুন নিয়ম চালু করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি, ক্রিপ্টো মুদ্রা নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাজধানী মস্কোয় আয়োজিত একটি আর্থিক ফোরামের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিটকয়েন এবং ভার্চুয়াল সম্পদ কেউ নিষিদ্ধ করতে পারবে না। দুই ‘সুপার পাওয়ার’ রাষ্ট্রপ্রধানের ক্রিপ্টো মুদ্রার ব্যাপারে এ হেন মনোভাবের জেরে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো মুদ্রাটির দাম রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে বলে স্পষ্ট করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর একটি বিটকয়েনের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৭২৭ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় অঙ্কটি ৮৭ লক্ষেরও বেশি। ক্রিপ্টো মুদ্রাটির রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে দ্বিতীয় কারণ হল যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’-এর (এসইসি) প্রধান হওয়ার দৌড়ে পল অ্যাটকিনসের এগিয়ে থাকা। বিটকয়েনের প্রবল সমর্থক পল ২০১৭ সাল থেকে ডিজিটাল চেম্বার অফ কমার্সের সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এসইসিতে গ্যারি গেনসলারের স্থালাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। ক্রিপ্টো মুদ্রার প্রবল সমালোচক হিসেবে এক নামে গ্যারিকে চেনে আমেরিকার আর্থিক মহল।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের মূল্য ১৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ নভেম্বর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই ক্রিপ্টো মুদ্রার সূচক ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, আগামী বছর (পড়ুন ২০২৫) একটি বিটকয়েনের মূল্য দু’লক্ষ ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিটকয়েন সঞ্চয়ের তহবিল তৈরি করতে পারেন ট্রাম্প। এর ফলেই ক্রিপ্টো মুদ্রাটির ব্যাপক কেনাকাটা চলছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিটকয়েন তথা যেকোনও ক্রিপ্টো মুদ্রায় লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই ধরনের ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)