প্রতীকী চিত্র।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় তিন সপ্তাহের লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে কেন্দ্রকে। যার জেরে বড় রকমের ধাক্কা খেতে চলেছে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্র। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এ বার আপৎকালীন ঋণ জোগানের আশ্বাস দিল ব্যাঙ্কগুলি। বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পও যাতে এই সমস্যার মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই ঋণ। তবে বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ জানিয়েছে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাবের বাইরে থাকবে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও। ভারতের ব্যাঙ্কিং শিল্পের মূল্যায়ন ‘বিবি+’ থেকে কমিয়ে ‘বিবি’ করেছে তারা।
করোনার মোকাবিলায় গত সপ্তাহেই শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির জন্য জরুরি ঋণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কটিকে অনুসরণ করে গত দু’দিনে ইউকো ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা-সহ ডজনখানেক ব্যাঙ্ক একই পথে হেঁটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকরী মূলধন হিসাবেই ওই ঋণ দেওয়া হবে জানিয়েছে তারা। সুদের হারও তুলনামূলক ভাবে কম। কয়েকটি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এক বছরের তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে হিসেব করা সুদের হারে (এমসিএলআর) ওই ঋণ দেওয়া হবে। যা পরিশোধের জন্য ৩৬ থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত সময় পাবে ঋণগ্রহীতারা।
ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ছোট শিল্প। পাটজাত এবং সুতির পণ্য রফতানি সংস্থা রোমা ইন্টারন্যাশলের সিইও কে কে বাগচি জানান, তাঁদের তৈরি পাটের ব্যাগ রফতানির জন্য প্যাকেজিং হয়ে গিয়েছিল। তখনই শুরু হয় করোনার প্রকোপ। এখন উৎপাদন এবং রফতানি বন্ধ। কিন্তু চালু থাকবে বেতন। এই অবস্থায় কার্যকরী মূলধনের জন্য ঋণ পেলে ব্যবসা ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সুবিধাই হবে। তবে তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি ১০% অতিরিক্ত কার্যকরী মূলধন দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কগুলি সেই পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ালে ভাল হয়। আইনত ব্যাঙ্কগুলি কার্যকরী মূলধনের ঋণের সীমা ২৫-৩০% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।’’