প্রতীকী ছবি।
মোবাইলে আসা এসএমএসে নো ইয়োর কাস্টমার (কেওয়াইসি) আপডেট করার লিঙ্কে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হচ্ছে টাকা। সম্প্রতি দুই অধ্যাপিকাও এ ভাবে জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। এর পরেই গ্রাহকদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বলছেন, ব্যাঙ্ক কখনওই মোবাইলে লিঙ্কের মাধ্যমে কেওয়াইসি আপডেট করতে বলে না। তার সময় হলে গ্রাহকের কাছে এসএমএস যায়। শাখায় গিয়ে আপডেট করতে হয়। গ্রাহকের পিন, অ্যাকাউন্ট নম্বর বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চাওয়া হয় না।
শুক্রবারই সামনে এসেছে এক অধ্যাপিকার অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির ঘটনা। যেখানে তাঁকে কেওয়াইসি আপডেট করার জন্য ফোনে আসা লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হয়। তা করতেই মোবাইল হ্যাক করে সেটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লক্ষের বেশি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। কিছুক্ষণ পরে টাকা গায়েব হয় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেও। এসবিআই কর্তৃপক্ষ এতে ব্যাঙ্ককর্মীর হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন। সাইবার ক্রাইম বিভাগও বিষয়টির তদন্ত করছে।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, করোনার মধ্যে ব্যাঙ্কে ডিজিটাল লেনদেনই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব জুড়েই এর অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। বিশেষত নিত্যনতুন পদ্ধতিতে জালিয়াতির জাল ছড়ানো হচ্ছে। অ্যাপ ডাউনলোড বা কেওয়াইসি না-করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে বলে ভয় দেখিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে। যাতে তার মাধ্যমেই হ্যাকারের নিজস্ব অ্যাপ ডাউনলোড হয়। গ্রাহক চাইলেও তখন ফোন বন্ধ করতে পারেন না। ওই অধ্যাপিকার ক্ষেত্রেও সে ভাবেই জাল ছড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণেই শুধু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সাইবার ক্রাইম রুখতে ব্যবস্থা নেওয়াই নয়, গ্রাহকদেরও আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।