economy

সরকারের সুদ প্রস্তাবে উদ্বেগ বাড়ছে ব্যাঙ্কের

কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, গ্রাহকদের একাংশকে সুদের উপরে সুদে ছাড় দিতে তারা তৈরি। সেই খরচ বহন করবে সরকার। ব্যাঙ্ক নয়।

Advertisement

  সংবাদ সংস্থা 

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৬:২১
Share:

প্রতীকী ছবি

অতিমারির সময়ে ঋণগ্রহীতাদের কিছুটা সুরাহা দিতে ছ’মাসের জন্য কিস্তি স্থগিতের (মোরাটোরিয়াম) সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই সময়ে জমা সুদ এবং সুদের উপরে সুদ দিতে হলে গ্রাহকদের সমস্যা আদতে বাড়বে— এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, গ্রাহকদের একাংশকে সুদের উপরে সুদে ছাড় দিতে তারা তৈরি। সেই খরচ বহন করবে সরকার। ব্যাঙ্ক নয়। কিন্তু ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের একাংশের আশঙ্কা, এই ব্যবস্থার ফলে জটিলতা আদতে বাড়বে। চাপবে মামলা-মোকদ্দমা এবং তার খরচ। সবচেয়ে বেশি খরচের বোঝা কাঁধে নিতে হবে সরকারকে। মাঝখান থেকে কোনও পক্ষকেই সন্তুষ্ট করা যাবে না।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ছোট ব্যবসা, গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড-সহ মোট আটটি ক্ষেত্রের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণে সুদের উপরে সুদে ছাড় দিতে তারা তৈরি। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের একাংশের বক্তব্য, এই খরচও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা। অতিমারির জেরে সরকারের আয়ও কমেছে। তার উপর এই বোঝা নিতে হলে চাপ আরও বাড়বে তাদের। পাশাপাশি, সমস্যা হবে অন্যান্য ধাপেও। ব্যাঙ্কগুলিকে কয়েক লক্ষ গ্রাহকের সুদের জটিল হিসেব নতুন ভাবে কষতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়েই ব্যাঙ্কের হিসেবের সঙ্গে সরকারের হিসেবের সামঞ্জস্যের অভাব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সরকারের পুঁজির উপরে অনেকটাই নির্ভর করে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাঙ্ক এসেছে ব্যবসা করার জন্য। তাদের হিসেবের সঙ্গে সরকারের হিসেবের পার্থক্য হবেই। তখনই হতে পারে মামলা। তার খরচ বহন করতে হবে দু’পক্ষকেই।’’

একটি এনবিএফসি-র পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘সরকারের থেকে টাকা ফেরত পাওয়া কতটা সময়সাপেক্ষ সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বিভিন্ন সময়ে সরকার যে কৃষিঋণ মকুব করেছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও ফেরত পাইনি আমরা।’’ একই যুক্তির স্বপক্ষে এক ব্যাঙ্ক-কর্তার দাবি, এই ধরনের প্রক্রিয়া আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে। ভবিষ্যতে বড় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেও সুবিধার আশা করতে পারেন গ্রাহক।

Advertisement

অতিমারির জেরে ধাক্কা খাওয়া ছোট ঋণগ্রহীতাদের যে কিছুটা সুরাহা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে অবশ্য সবাই এক মত। তবে ব্যাঙ্কিং মহলের একাংশের যুক্তি, এর জন্য অন্য পথ রয়েছে। সুদে ভর্তুকি বা ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া যেতে পারত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement