—প্রতীকী চিত্র।
সামনেই পুজো। কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। কিন্তু সংবাদ সংস্থার সমীক্ষার ইঙ্গিত অনুযায়ী, উৎসবের মরসুমেও মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা বহাল থাকবে। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত খুচরো বাজারে তা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ৬% সহনসীমার উপরে থাকতে পারে। একাংশের আশঙ্কা ভুগতে হতে পারে আরও কিছু দিন। এর ফলে চাহিদা ধাক্কা খাওয়ায় এবং ভোটে চোখ রেখে লগ্নিকারীরা সতর্ক থাকায় আর্থিক বৃদ্ধির গতিও পরের ত্রৈমাসিকগুলিতে খুব বেশি হবে না বলে ধারণা তাঁদের।
আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের আগুন দাম জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলেছে ৭.৪৪ শতাংশে। এই অবস্থায় গত ১৮-২৮ অগস্ট পর্যন্ত সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সমীক্ষা চালায় অর্থনীতিবিদদের মধ্যে। তাতে বেশিরভাগের ধারণা, আরও কয়েক মাস মূল্যবৃদ্ধির হার শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যের উপরে থাকবে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশের (৪৫ জনের মধ্যে ৩৩) মতে, আগামী ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বা তার পরে সেই হার ২% থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে আসতে পারে। এর মধ্যে ২৭ জনের মতে সেটা হবে অক্টোবর-ডিসেম্বরে। ছ’জন বলেছেন আগামী জানুয়ারি-মার্চে। দু’জনের ধারণা অগস্টেই। আর ১০ জনের আশা, দামে সুরাহা মিলতে পারে সেপ্টেম্বরে।
এএনজ়ি-র অর্থনীতিবিদ ধীরজ নিমের বক্তব্য, ‘‘সেপ্টেম্বরেও দাম চড়া থাকতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে কত দ্রুত খাদ্যপণ্য তথা আনাজের দামে রাশ টানা যাচ্ছে, তার উপরে।’’ জুলাইয়ে আচমকা মূলবৃদ্ধি এতটা মাথা তোলায়, তার পূর্বাভাসও পাল্টেছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ত্রৈমাসিকে তা হতে পারে ৬.৬%। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৫.৭% এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৫.৩%। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের আশঙ্কা, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আরবিআইয়ের ৬.২% অনুমান ছাপিয়ে যেতে পারে বাস্তবের হার।
আগামী কয়েকটি ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার নামার আশঙ্কাও আছে, জানান নিম। তাঁর বক্তব্য, এপ্রিল-জুনে পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি, সরকারি খরচের জেরে ৭.৭% বৃদ্ধির আশা। তবে আগামী দিনে গতি কমবে। কারণ লগ্নিকারী হাত গুটিয়ে। বাড়তি চাহিদাও কমেছে।