—প্রতীকী চিত্র।
বছর খানেক আগে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক রিপোর্টে আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করেছিল। এ বার প্রায় একই বার্তা দিল ডয়েশ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক দাসের তৈরি রিপোর্ট। যা জানাল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আর্থিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও কেরল। প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ় এবং তেলঙ্গানা। তবে রাজ্য জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে ঋণের বোঝা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সমস্ত রাজ্যকেই।
১৭টি বড় রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে বিদেশি ব্রোকারেজ সংস্থাটি। রাজ্য জিডিপির নিরিখে রাজকোষ ঘাটতি, কর থেকে নিজস্ব আয়, ঋণ ও রাজস্ব সংগ্রহের কতটা অংশ ঋণের সুদ মেটাতে যায়— এই চারটি মাপকাঠিকে তাদের স্বাস্থ্য বিচার করতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে দাবি, শুধু চলতি অর্থবর্ষের বাজেট নয়, আর্থিক দুর্বলতা ধারাবাহিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গী। যেমন ২০২২-২৩ সালের বাজেটের সংশোধিত হিসাবেও পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, বিহার, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ শেষ পাঁচে রয়েছে। এখানেও প্রথম সারিতে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, তেলঙ্গানা এবং ঝাড়খণ্ড। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের চূড়ান্ত হিসাবে ছত্তীসগঢ় রয়েছে শীর্ষে। শেষে পঞ্জাব, তার ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গ। পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলি ঋণের বোঝা সামাল দেওয়ার দিক থেকে করোনার আগে থেকেই নড়বড়ে জায়গায় রয়েছে এবং এখনও সেই পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য জিডিপির নিরিখে এই ১৭টি রাজ্যের রাজকোষ ঘাটতির হার ধরা হয়েছে ৩.৩%। যা গত দু’বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। এ বছর মূল্যবৃদ্ধি ধরে আর্থিক বৃদ্ধির হার (নমিনাল জিডিপি) দুই অঙ্ক থেকে নামতে পারে ৯-৯.৫ শতাংশে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য জিডিপির নিরিখে ঋণের হার বাড়তে পারে অনেকটা।