—প্রতীকী চিত্র।
ভারতে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দানের বহর বাড়ছে। তবে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ঝুঁকিও। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস-এর সতর্কবার্তা, সেই ঝুঁকির মোকাবিলাই ব্যাঙ্কিং শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, তার নিরিখে মাপা হয় তাদের ঋণ দেওয়ার প্রকৃত ক্ষমতা।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে সংস্থার দাবি, ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি বাড়তে থাকা ঋণের চাহিদা পূরণে এগোলেও বর্ধিত ঝুঁকি সামলানোর কঠিন কাজটি তাদের ধার দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে। কারণ, বিষয়টি অপরীক্ষিতই থেকে গিয়েছে। ফিচের বক্তব্য, খুচরো ঋণের তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে এশিয়ার অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির খামতি রয়েছে। যেমন, বন্ধক রাখা সম্পত্তির মূল্যের নিরিখে ঋণের পরিমাণ, ঋণগ্রহীতা ঠিক মতো ধার শোধ করছে কি না, ঋণ আদায়ের অঙ্ক ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য এশিয়ার বহু ব্যাঙ্ক যে ভাবে ঘোষণা করে, সেটা ভারতে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে এ দেশের ব্যাঙ্কগুলির স্বচ্ছতা বেশ কম বলেই মনে করছে তারা। আর এখানেই সন্দেহ তৈরি হচ্ছে বলে ইঙ্গিত তাদের।
ফিচের মতে, এ দেশের ব্যাঙ্কিং শিল্পে অনাদায়ি ঋণের বোঝা কমছে। ধার আগের থেকে শোধ হচ্ছে বেশি। ফলে ঋণের বহর বাড়িয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা এবং ইচ্ছাও বেড়েছে ব্যাঙ্কগুলির। কিন্তু প্রধান সমস্যা তৈরি করছে, মুনাফা বৃদ্ধির জন্য ব্যাঙ্কগুলির অসুরক্ষিত ঋণ দেওয়ার বাড়তে থাকা প্রবণতা। তবে তাদের বক্তব্য, আরবিআইয়ের কড়া নজর রয়েছে। শীর্ষ ব্যাঙ্ক কিছু ঋণের উপর ঝুঁকির হার (রিস্ক ওয়েট) বাড়িয়েছে, পরিচালনার আইন ভাঙার জন্য কিছু ব্যাঙ্ক এবং অন্য আর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে। প্রকল্প গড়ার ঋণে আর্থিক সংস্থানের হারও বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।