—প্রতীকী চিত্র।
পরিষেবায় বৃদ্ধি হয়েছে বটে। তবে কমেছে তার গতি। সমীক্ষা বলছে, এপ্রিলে এইচএসবিসি-র ইন্ডিয়া সার্ভিসেস বিজ়নেস অ্যাক্টিভিটি ইন্ডেক্স দাঁড়িয়েছে ৬০.৮-এ। যা মার্চে ছিল ৬১.২। মূলত নতুন বরাত ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া, ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছা এবং অর্থনীতির ভাল অবস্থাই এই ক্ষেত্রকে বৃদ্ধির পথে রেখেছে বলে জানানো হয়েছে সেখানে। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে কাজের বাজার এবং মূল্যবৃদ্ধির ছবি। যা বলছে, গত মাসে কিছু সংস্থার ক্ষেত্রে কম চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। সংস্থাগুলির উপরে চাপ বেড়েছে দামের। উল্লেখ্য, এই পার্চেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) ৫০-এর উপরে থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বৃদ্ধি। কম হওয়া মানে সঙ্কোচন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এইচএসবিসি জানিয়েছিল, তাদের উৎপাদন পিএমআই সূচক মার্চের ৫৯.১ থেকে গত মাসে নেমেছে ৫৮.৮-এ। তবে রিপোর্টে দাবি, এপ্রিলে দেশের কারখানাগুলিতে উৎপাদনের কর্মকাণ্ড কিছুটা শ্লথ হলেও, ক্ষেত্রটির স্বাস্থ্যের উন্নতির নিরিখে এটাই সাড়ে তিন বছরে দ্বিতীয় সেরা। যার কারণ, বাড়তে থাকা চাহিদা। আর আজ সমীক্ষা বলছে, গত মাসে দেশের পাশাপাশি বিদেশে ভারতীয় পরিষেবার ভাল চাহিদা দেখা গিয়েছে। এই সূচক চালুর পরে যা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে উৎপাদন এবং পরিষেবা দুই মিলে কম্পোজ়িট পিএমআই আউটপুট সূচক মার্চের ৬১.৮ থেকে নেমে হয়েছে ৬১.৫।
বরাত বৃদ্ধির হাত ধরে পরিষেবা সংস্থাগুলিতে কর্মীর চাহিদা বাড়লেও, নিয়োগের গতি আগের থেকে কমেছে বলে জানিয়েছে আজকের রিপোর্ট। বেশ কিছু সংস্থার দাবি, তাদের হাতে কর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট। কোনও ক্ষেত্রে আবার নিয়োগ বেড়েছে খুবই সামান্য। তার উপরে দেশে যে এখনও মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমেনি, সেটাও ধরা পড়েছে সূচকে। ভারতে এইচএসবিসি-র মুখ্য অর্থনীতিবিদ প্রাঞ্জল ভাণ্ডারির মতে, মার্চের থেকে কমলেও কাঁচামাল এবং পরিষেবা দেওয়ার খরচ বেড়েছে। সেই তুলনায় গ্রাহকের থেকে বেশি টাকা আদায় করেনি সংস্থাগুলি। যার প্রভাব পড়েছে তাদের মুনাফায়। যদিও সব মিলিয়ে পরিষেবায় আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে বেশিরভাগ সংস্থা।