বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাবাসে আশায় বৃদ্ধি।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৬.৮%। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আবার সেই হার নেমেছে ৫.৮ শতাংশে। চিনের কাছে হারাতে হয়েছে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা। স্বস্তিতে নেই রাজস্ব সংগ্রহ, রাজকোষ ঘাটতির মতো বিষয়গুলিও। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিল বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট। সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বলা হয়েছে টানা তিনটি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার থাকবে ৭.৫%। সে ক্ষেত্রে চিনের সঙ্গে বৃদ্ধির লড়াইয়ে টক্কর দেওয়ার রসদ পাবে ভারত।
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত অর্থবর্ষে ভারতে সরকারি বরাত কমেছিল। তবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি খরচের উপরে ভিত্তি করে বিনিয়োগ হয়েছে। আবার এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধির হার কম। আগামী ঋণনীতিও সুদ কমতে পারে। যার কাঁধে ভর করে বাড়বে ঋণ দেওয়া, বিনিয়োগ এবং চাহিদা। নির্বাচন শেষ। ফলে কেন্দ্র এ বার মন দিতে পারবে খরচ ছাঁটই, রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখার দিকে।
অন্য দিকে, তিন বছরে চিনের বৃদ্ধি কমবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ২০১৯ সালে তা হতে পারে ৬.২%। তার পরের দু’বছরে তা কমে ৬% হতে পারে। অর্থাৎ, ২০২১ সালে ভারত ও চিনের মধ্যে বৃদ্ধির হারের পার্থক্য দাঁড়াতে পারে ১৫০ শতাংশ বিন্দু।