প্রতীকী চিত্র।
ভারতে রেল হল দেশের অন্যতম লাইফ লাইন। লক্ষ লক্ষ যাত্রী ট্রেনে সফর করেন। কিন্তু তাদের অনেকেই সব নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকেন না। এর জন্য অনেক সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। টিকিটহীন সফর একেবারেই অনুচিত কাজ। যদি কেউ সেটা করেন তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আবার রেলের নিয়ম না মেনে টিকিট পরীক্ষা করা বা যাত্রীদের জরিমানা করাও অপরাধ। আরও মনে রাখতে হবে যে ট্রেনের নিরাপত্তারক্ষীরা কখনওই কোনও যাত্রীর টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন না, জরিমানা করতে পারেন না। আবার সফর চলাকালীন ট্রেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিটিই যখন তখন টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন না।
ট্রেনে বা স্টেশনে অনেক সময়েই দেখা যায় আরপিএফ (রেল সুরক্ষা বাহিনী)-এর কর্মীরা টিকিট পরীক্ষা করেন। কিন্তু এটা নিয়ম নয়। চলন্ত ট্রেনে টিকিট পরীক্ষার অধিকার শুধু টিটিই-র। সেটাও আবার রাত ১০টা পর্যন্ত। রেলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও যাত্রীর ঘুমনোর সময় শুরু হয়ে যায় রাত ১০টায়। এর পরে যাত্রীদের বিরক্ত করার নিয়ম নেই। তবে কোনও ট্রেন যদি বেশি রাতে ছাড়ে কিংবা যাত্রী যদি রাতের দিকে ট্রেনে ওঠেন সে ক্ষেত্রে টিটিই মাঝরাতেও টিকিট দেখতে চাইতে পারেন।
অনেক সময়ে দেখা যায় টিটিই নন এমন রেলের অনেক কর্মী টিকিট পরীক্ষা করেন। কিন্তু এটা নিয়ম নয়। এমনটা দেখলে যাত্রীরা অভিযোগও জানাতে পারেন। সেই অভিযোগও জানাতে হবে টিটিই-র কাছে। কোনও যাত্রী যদি কোনও কারণে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে ওঠেন অথবা টিকিট হারিয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রেও অকারণে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। টিটিই-র সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ম মেনে টিকিট করে নেওয়া যায়। আর মনে রাখা উচিত যে, টিকিট পরীক্ষার জন্য টিটিই-কে সাহায্য করতে পারেন আরপিএফ কর্মীরা, নিজের থেকে করতে পারেন না।