প্রতীকী ছবি।
ফের মৃত্যু পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপরেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্কের আমানতকারীর। ব্যাঙ্কটির আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এই নিয়ে চতুর্থ।
শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ের কাছে মালাডে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় ৮৩ বছর বয়সি মুরলীধর ধারার। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, ওই আমানতকারী হৃদযন্ত্রের অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর একটি জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। পিএমসি ব্যাঙ্কে ৮০ লক্ষ টাকা থাকা সত্ত্বেও তা তোলা যায়নি। পিএমসি কাণ্ডের জেরে সমবায় ব্যাঙ্কটি থেকে টাকা তোলার উপরে কিছু বিধিনিষেধ চাপিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন কোনও গ্রাহকই ৪০,০০০ টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, আমানত প্রত্যাহারের শর্তের মধ্যেই ব্যতিক্রম হিসেবে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি রয়েছে। মৃতের পরিবার ওই ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন কি না, অথবা করলেও কেন তহবিল তোলা গেল না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
আমানত তোলায় কড়াকড়ি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিএমসি ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের একাংশ। এ দিন শীর্ষ আদালত তা গ্রহণ করেনি। পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে। পিএমসি কাণ্ডে এ দিনই এইচডিআইএলের প্রোমোটার রাকেশ ওয়াধওয়ান এবং তাঁর ছেলে সরঙ্গকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে পঠিয়েছে মুম্বইয়ের এক আদালত।