অনিল অম্বানী। —ফাইল চিত্র।
রিলায়্যান্স হোম ফিনান্সের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে শিল্পপতি অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে। অনিল এবং ২৪ জন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারের লেনদেনে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। সেই সঙ্গে শিল্পপতির উপরে চাপানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা। আজ মুখপাত্রের মাধ্যমে বিবৃতি জারি করে অনিল জানিয়েছেন, তিনি নির্দেশের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন। তার পরে আইনি পরামর্শের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।
আজকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স সংক্রান্ত তদন্তের অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল সেবি। তখনকার নির্দেশের ভিত্তিতে অনিল রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং রিলায়্যান্স পাওয়ারের পর্ষদ থেকে সরে যান। গত আড়াই বছর ধরে তিনি বাজার নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ মেনে চলছেন। গত ২২ অগস্টের চূড়ান্ত নির্দেশে তাঁকে এবং আরও ২৪ জনকে সিকিউরিটি বাজার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনিল সেবির সেই নির্দেশ খতিয়ে দেখছেন এবং তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করবেন। আজ পৃথক বিবৃতি জারি করে রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং রিলায়্যান্স পাওয়ার দাবি করেছে, তারা সেবির এই নির্দেশের কোনও পক্ষ নয়। তাদের সেবি কোনও নির্দেশ দেয়নি। অনিল তাদের পর্ষদের সদস্য নন। ফলে এই নির্দেশের কোনও প্রভাব তাদের ব্যবসায় পড়বে না।
গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক ঢেউয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে অনিলকে। অনাদায়ি ঋণকে ঘিরে তাঁর তিনটি সংস্থা রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স, রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল এবং রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এখন দেউলিয়া বিধির মোকাবিলা করছে।