ফাইল চিত্র।
জুনের পরে জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির যথেষ্ট আয় না হলে কেন্দ্র সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে, তেমন ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত নেই। ফলে জুলাই থেকে কোষাগারের হাল কী হবে তা নিয়ে সমস্ত রাজ্যই চিন্তায়। এই প্রেক্ষিতে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে দাবি করলেন, জুনের পরে ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানো হোক।
২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার সময় ঠিক হয়েছিল, প্রত্যেক বছর রাজ্যগুলির রাজস্ব ১৪% হারে বাড়তে পারে ধরে নিয়ে সেই ঘাটতির উপর পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই অর্থ সংগ্রহের জন্য ভোগ্য ও ক্ষতিকারক পণ্যের উপর সেস বসানো হয়। তবে চলতি মাসে সেই পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অমিত নির্মলাকে লিখেছেন, ‘‘জুলাই থেকে কেন্দ্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে চলেছে। এই উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেখে আমরা হতাশ। এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জিএসটি চালুর সময় যা ভাবা হয়েছিল, তার উল্টো পথে হাঁটা হবে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ২০১৬ সালের ১৪ জুন কলকাতায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের এমপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে সব রাজ্য জিএসটির বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল পাঁচ বছরের ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও। কিন্তু সেই সময় কেউই অতিমারির ধাক্কা সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারেননি।
এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও ক্ষতিপূরণের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের একটি সূত্রের বক্তব্য, অতিমারি ধাক্কা দিয়েছে কেন্দ্রের রাজকোষেও। ফলে এখন ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে ধার দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। আর সেই ধার মেটাতে গিয়ে আরও তিন বছর সেস আদায় করতে হবে। এর উপর ক্ষতিপূরণের মেয়াদ আরও বাড়লে সাধারণ মানুষের উপরেই বাড়তি বোঝা চাপবে। অমিতের অবশ্য যুক্তি, কোভিডের পরে তৃতীয় বছরেও অর্থনীতিতে ক্ষত রয়ে গিয়েছে। বিপুল চাপ পড়েছে রাজ্যগুলির কোষাগারে। রাজ্যের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে মূল্যবৃদ্ধি। জিডিপি বা অর্থনীতির গতি এখনও আশানুরূপ স্তরে পৌঁছয়নি। সে কারণে ক্ষতিপূরণের মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোই যুক্তিসঙ্গত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।