অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে প্রথম পাঁচটি বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) মঞ্চে যে সব লগ্নি-চুক্তি হয়েছিল, তার ৫০ শতাংশেরও বেশির রূপায়ণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন অমিত মিত্র। দিল্লিতে আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রধান মুখ্য উপদেষ্টার বার্তা, গত বছর ষষ্ঠ বিজিবিএসে ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব আসে। তার আগে ২০১৫ থেকে ২০১৯, এই পাঁচ বছরের সম্মেলনে আসা প্রস্তাবগুলির অর্ধেকের বেশি রূপায়ণ পর্বে রয়েছে।
রাজ্যে লগ্নি টানতে ২১ ও ২২ নভেম্বর সপ্তম বিজিবিএসের আসর বসাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত ৪০টিরও বেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেছেন। এক পাঁচতারা হোটেলে প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠকের পরে তিনি বলেন, গত বছর ৪২টি দেশ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। এ বছরও যথেষ্ট সাড়া মিলছে। বৈঠকে যোগ দেন ইউরোপীয় অঞ্চল, আসিয়ান, পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, লাতিন আমেরিকার সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির কূটনীতিকেরা।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাজ্যে শিল্পায়ন নিয়ে বৈঠকে ছিলেন মোদী সরকারের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক, বিদেশ মন্ত্রকের ওএসডি (রাজ্য) সি রাজাশেখর-ও। যা দেখে রাজ্যের আশা, রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও বঙ্গের শিল্পায়নে কেন্দ্রের সহযোগিতা মিলবে। অমিত বলেন, ‘‘কেন্দ্র সাহায্য করবে কি না সে উত্তর তারাই দিতে পারবে। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাস রাখি। অতীতে রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরা বিজিবিএসে যোগ দিয়েছেন।’’
রাজ্যের তরফে আজ বিভিন্ন দেশকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি। শেল গ্যাস (পাথরের খাঁজে থাকা গ্যাস) থেকে খনি, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি— নানা ক্ষেত্রে লগ্নির সুযোগ রয়েছে। অমিতবাবুর দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য রাজারহাটে সিলিকন ভ্যালি হাবে জমি দেওয়া হয়েছে। আরও জমি আছে। কোনও সমস্যা নেই। গত অর্থবর্ষে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্পে ব্যাঙ্কগুলি ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তার আগের বছর দিয়েছিল ১.০৪ লক্ষ কোটি। অমিতের বার্তা, দু’বছর মিলিয়ে ২ লক্ষ কোটির বেশি ঋণের অর্থ পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি-তে ৮ লক্ষ কোটি টাকা যোগ হবে।