প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ আইন সংশোধন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার বিষয়টি সম্পর্কে সব পক্ষের মতামত শুনতে এবং সেই অনুযায়ী দর কষাকষির পথ খোলা রাখতে রাজ্যগুলির শরণাপন্ন হল বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের কর্মী সংগঠন অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন (এআইপিইএফ)। দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে তাদের আর্জি, খসড়া বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল ২০২১ সংক্রান্ত মতামত এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের (বিশেষত ক্রেতা ও বিদ্যুৎ কর্মীদের) পরামর্শ জমা দিতে কেন্দ্রের থেকে আরও অন্তত তিন মাস সময়
নিন তাঁরা।
এআইপিইএফের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র দুবের অভিযোগ, বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্র অকারণে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে। যে ভাবে খসড়া বিলটি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে শুধু রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সিএমডিদের পাঠানো হয়েছে, তাতে অস্বচ্ছতা স্পষ্ট। অথচ এই বিলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ যাঁরা, সেই ক্রেতা, বিদ্যুৎ কর্মী এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির ইঞ্জিনিয়ারদের পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। বিদ্যুৎ মহলের একাংশের প্রশ্ন, যেন সংশোধনীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনায় লুকোনোর চেষ্টা চলছে। এটা কেন? এআইপিইএফ প্রতিটি রাজ্যের প্রধান বিদ্যুৎসচিব এবং বণ্টন সংস্থার চেয়ারপার্সনদের কাছেও চিঠি পাঠিয়ে বিল নিয়ে অকারণ তাড়াহুড়ো বন্ধ করার
আর্জি জানিয়েছে।
সময়সীমা বেঁধে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছনো, বণ্টন ব্যবস্থার সংস্কারের মতো লক্ষ্য পূরণে বিদ্যুৎ আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। এ ব্যাপারে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করবে তারা। সম্প্রতি এআইপিইএফ দাবি করেছে, তার আগে প্রস্তাবিত বিলের খসড়া এমন বৈদ্যুতিন প্ল্যাটফর্মে রাখা হোক, যাতে তা সবাই দেখতে পান এবং নিজেদের মতামত জানাতে পারেন। কারণ তা বিদ্যুৎ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেও নেই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের মতে, এ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক না-হলে ভালর থেকে খারাপ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকছে।