অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল ছবি।
চলতি অর্থবর্ষে মোদী সরকারের ঋণ দাঁড়াবে প্রায় ১২.৮০ লক্ষ কোটি টাকা। আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ১২.৫০ লক্ষ কোটি। বিপুল ঋণের টাকা পরিকাঠামোয় খরচ করেই সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে বলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাদের জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বাজেটের পরে আজ নিয়মমাফিক রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ডিরেক্টরদের কেন্দ্রীয় বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। আলোচনা হয়েছে আর্থিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সেখানেই নির্মলা বাজেটে সরকারের অগ্রাধিকার ব্যাখ্যা করেন। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, বাজেটের জেরে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা তুলতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি প্রায় ১২.৫০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে যাতে সমস্যা না-হয়, তার জন্যও শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আজই শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর বিমল জালান বাজেটের প্রশংসা করে বলেন, এখন ৭-৮ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তবে লগ্নির বদলে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কর্মসংস্থানকে। কেন্দ্র চাইলেও জালানের মতে, অর্থনীতিকে ২০২৪-২৫ সালে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নেওয়া মুশকিল। কারণ, বৃদ্ধির হার কোভিডের আগের পর্যায়ে ফিরতেই দেড় বছর লাগবে। অর্থনীতির ঝিমুনির জন্য যখন তা ৪ শতাংশে নেমেছিল।
এ বছরে রাজকোষ ঘাটতি ৯.৫% হতে পারে। জিডিপি-র তুলনায় সরকারের ঋণ ৯০% ছুঁয়েছে। আর্থিক দায়বদ্ধতা এবং এফআরবিএম আইনে সংশোধন করে ঘাটতি কমানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্য বদলে নিম্ন ও ঊর্ধ্বসীমা ধার্য নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। ঋণ ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে জিডিপি-র ৬০% করার লক্ষ্য তোলার ভাবনাও চলছে।