প্রতীকী ছবি।
কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে, কোনওটিতে সরকারের হাতে থাকা শেয়ারের কিছুটা অংশ বেচে, কোনও ক্ষেত্রে আবার বাজার থেকে সংস্থার শেয়ার কিনে ফেরানোর পথে চলতি অর্থবর্ষে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উঠেছে ১৯,৪৯৯ কোটি টাকা। অর্থবর্ষ শেষ হতে দু’মাস বাকি। ফলে এটুকু সময়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ হবে না বলেই মনে করছে সরকারি মহলের একাংশ। তাদের দাবি, করোনাই সব লক্ষ্যকে এ বার ওলটপালট করে দিয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গোটা অর্থবর্ষের জন্য বিলগ্নিকরণ খাতে ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য বেঁধেছিলেন। সূত্রের দাবি, সেই সময় জীবনবিমা নিগমে (এলআইসি) সরকারি অংশীদারির কৌশলগত বিক্রিকে পাখির চোখ করেছিল সরকার। কিন্তু অতিমারির জেরে তা ধাক্কা খেয়েছে। টাটা কমিউনিকেশন্সে (আগের ভিএসএনএল) কেন্দ্রের পুরো ২৬.১২% অংশীদারি বাজারে বিক্রির লক্ষ্যও পূরণ হয়নি এখনও। এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, বিপিসিএল, পবনহংস, বিইএমএল, শিপিং কর্পোরেশন, নীলাচল ইস্পাত নিগম এবং ফেরো স্ক্র্যাপ নিগমের বেসরকারিকরণ।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করতে গিয়েও বার বার নাস্তানাবুদ হয়েছে সরকার। যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি এই মুহূর্তে লোকসানে ধুঁকছে। বাজারে দেনা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে সেটিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে মরিয়া ছিল কেন্দ্র। কিন্তু চারবারের চেষ্টাতেও ক্রেতা মেলেনি। শেষে বিক্রির শর্ত অনেক শিথিল করে তারা। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে আগ্রহপত্র জমা দিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। সংস্থাটির প্রায় ২০০ কর্মীর একটি দলও ইচ্ছেপত্র জমা দিয়েছে। তবে বিক্রির পুরো প্রক্রিয়া চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে শেষ করা মুশকিল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ
• বাজারে হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স (হ্যাল), ভারত ডাইনামিক্স, আইআরসিটিসি এবং সেল-এর শেয়ার বিক্রি (অফার ফর সেল) থেকে ১২,৯০৭ কোটি টাকা।
• বাজারে আইআরএফসি এবং মাজ়াগন ডক শিপবিল্ডার্সের প্রথমবার শেয়ার বিক্রি থেকে ১,৯৮৪ কোটি টাকা।
• স্পেসিফায়েড আন্ডারটেকিং অব দ্য ইউনিট ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (সুটি) এবং অন্যান্য লেনদেন মারফত বেসরকারি সংস্থায় থাকা সরকারের অংশীদারি বেচে ১৮৩৭ কোটি টাকা।
• এনটিপিসি, এনএমডিসি, রাইটস, কেআইওসিএলের শেয়ার ফিরিয়ে নিয়ে ২৭৬৯ কোটি।