Business News

জার্মানি ও আমেরিকায় রোবট-চালিত কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত আডিডাসের

আডিডাসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যেই জার্মানির আনসবাখ এবং আমেরিকার আটলান্টায় তাদের রোবট-চালিত দু’টি কারখানার কাজ বন্ধ করা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্লিন শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৪৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

জার্মানি এবং আমেরিকায় নিজেদের রোবট-চালিত কারখানা বন্ধ করবে আডিডাস। তবে এশীয় বাজারে ওই প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরুর কথাও জানিয়েছে তারা। সোমবার একটি বিব়ৃতি জারি করে এ ঘোষণা করেছে জার্মান বহুজাতিক সংস্থাটি।

Advertisement

আডিডাসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যেই জার্মানির আনসবাখ এবং আমেরিকার আটলান্টায় তাদের রোবট-চালিত দু’টি কারখানার কাজ বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি, চলতি বছরের শেষে এশীয় সরবরাহকারীরা যাতে ওই একই প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরু করতে পারেন, তা-ও দেখবে আডিডাস।

জার্মানির বাভারিয়ায় সংস্থার সদর দফতরের কাছে আনসবাখে ২০১৬-তে প্রথম রোবট-চালিত কারখানায় উৎপাদন শুরু করে আডিডাস। এর পরের বছর ফের এই ধরনের একটি কারখানা তৈরি করে আটলান্টায়। ‘স্পিডফ্যাক্টরি’ নামে পরিচিত রোবট-চালিত ওই কারখানাগুলিতে এক দিনেই একটি স্পোর্টস শু তৈরি করা যেতে পারে। অন্য দিকে, ভিয়েতনাম বা চিনের কারখানায় তা তৈরি করতে সময় লাগে দুই থেকে তিন মাস। আনসবাখে একটি ফুটবল মাঠের অর্ধেক সাইজের কারখানায় কর্মী-সংখ্যা মাত্র ১৬০ জন। তবে তাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিদিন দেড় হাজার জোড়া জুতো তৈরি করা যায়। বছরে ওই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫ লক্ষে। ভিয়েতনাম বা চিনে আডিডাসের কারখানার এক-একটি জুতোয় সেলাই থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজ করেন সেখানকার কর্মীরা। কিন্তু ‘স্পিডফ্যাক্টরি’-তে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সাহায্যে জুতোর ডিজাইন থেকে তা তৈরি করা— প্রায় সবই হয় রোবটের সাহায্যে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিঘার হোটেলে হাত-বাঁধা তরুণীরর ঝুলন্ত দেহ! রহস্যভেদ হল চার বছরের শিশুর হাত ধরে

আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনের নকল প্রচ্ছদ থেকে বায়োডেটা, সবেতেই ভুয়ো তথ্য ট্রাম্প সরকারের এই অফিসারের!

আরও পড়ুন: সমুদ্রে ভেসে আসছে কোটি কোটি টাকার কোকেন, সৈকত বন্ধ করে দিল পুলিশ

তবে এই সিদ্ধান্তের পিছনে ঠিক কোন কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি সংস্থা কর্তৃপক্ষ। মূলত, বাজারের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতেই দ্রুত উৎপাদনের লক্ষ্যে স্পিডফ্যাক্টরি গড়েছিল আডিডাস। সেই সঙ্গে এশীয় বাজারে মজুরি ও রফতানির খরচ কমানোও লক্ষ্য ছিল তাদের। প্রাথমিক ভাবে বিশ্ব জুড়েই এ ধরনের কারখানা গড়ার পরিকল্পনা ছিল আডিডাসের।

অনেকের মতে, রোবট-চালিত এই ধরনের কারখানার মাধ্যমে ইউরোপ ও আমেরিকা তথা বিশ্ব জুড়ে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে আডিডাস। তবে সংস্থার এই সিদ্ধান্তে তা ব্যাহত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement