প্রতীকী ছবি।
অতিমারির সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) ও এমপ্লয়িজ় স্টেট ইনশিওরেন্স (ইএসআই) প্রকল্পে বাড়তি সুবিধার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিল শ্রম মন্ত্রক এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক। যার আওতায় রয়েছে কোনও কর্মীর করোনায় মৃত্যু হলে তার পরিবারের জন্য পেনশনের সুবিধা, দ্বিতীয়বার করোনা ঋণ নেওয়ার সুযোগ ইত্যাদি।
গত বছর লকডাউনের সময়ে ২৮ মার্চ কর্মীদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প চালু করেছিলেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল, ওই ঋণ কোনও সদস্য তাঁর জীবনে একবারই তুলতে পারবেন। এ দিন মন্ত্রক জানিয়েছে, দ্বিতীয় বারের জন্যও ওই ঋণ পাওয়া যাবে। প্রথমবার বলা হয়েছিল, কর্মীর তিন মাসের বেতন, পিএফ অ্যাকাউন্টে তাঁর মোট জমার ৭৫% বা আবেদনপত্রে উল্লিখিত অঙ্কের মধ্যে যেটা সব থেকে কম হবে, সেই টাকাই ঋণ হিসেবে মিলবে। নতুন ব্যবস্থাতেও তার কোনও পরবর্তন করা হয়নি।
সেই সঙ্গে ইএসআই-এর ক্ষেত্রে এত দিন নিয়ম ছিল যে, বিমা প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মী কর্মস্থলে অথবা কাজে আসার সময় বা কাজ থেকে ঘরে ফেরার সময় মারা গেলে, তবেই তাঁর পবিবার সারা জীবন পেনশন পাবে। নতুন ব্যবস্থায় বাড়িতে বা হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত কর্মীর মৃত্যু হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মীর পরিবার ওই পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর দৈনিক গড় আয়ের ৯০% টাকা পারিবারিক পেনশন দেওয়া হবে। ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে থেকে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে। তবে ওই পেনশন পেতে দু’টি শর্ত পূরণ করতে হবে।। প্রথমত, করোনা ধরা পড়ার অন্তত তিন মাসে আগে থেকে কর্মীকে ইএসআই-এ নথিভুক্ত থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, মারা যাওয়ার ঠিক আগের ১২ মাসের মধ্যে অন্তত ৭৮ দিনের ইএসআই খাতে দেয় টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পড়া চাই।
উল্লেখ্য, এর আগেই এমপ্লয়িজ় ডিপোজিট লিঙ্কড ইনশিওরেন্স প্রকল্পের বিমার সর্বাধিক অঙ্কও ৬ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ করার কথা জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। সর্বনিম্ন অঙ্ক বেড়ে হচ্ছে ২.৫ লক্ষ টাকা। এই টাকা পেতে মৃত্যুর আগের ১২ মাসে একই সংস্থায় টানা কাজের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। ফলে মৃত্যুর আগের এক বছরের মধ্যে সংস্থা বদলালেও পরিবার প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না।