—প্রতীকী ছবি।
আমেরিকায় এ বার বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করতে চলেছেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। যা এক দিকে যেমন ওয়াশিংটনের ‘শক্তি সুরক্ষা’ নিশ্চিত করবে। অন্য দিকে তেমনি কর্মসংস্থানের জোয়ার আনবে বলে দাবি করেছেন তিনি। আদানি গোষ্ঠী মোট হাজার কোটি ডলার আটলান্টিকের পারে লগ্নি করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান গৌতম আদানি। ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনাকে অভিনন্দন। ভারত ও আমেরিকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব বেড়েই চলেছে। আর তাই আদানি গ্রুপ বিশ্বব্যাপী দক্ষতা ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমেরিকায় শক্তি সুরক্ষা খাতে বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে। যাতে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’’
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় এলে জ্বালানি নীতির বড় বদল করবেন বলে নির্বাচনী প্রচারে প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। যার জেরে আদানি গোষ্ঠীর সেখানে বিনিয়োগ করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমেরিকায় ১০ গিগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ইচ্ছা রয়েছে গৌতম আদানির। ২০৫০ সালের মধ্যে শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বাইরে একাধিক দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছে আদানি গোষ্ঠী। সেই তালিকায় রয়েছে নেপাল, ভুটান, কেনিয়া, তানজ়ানিয়া, ফিলিপিন্স এবং ভিয়েতনাম। ভূপ্রাকৃতিক গঠনের দিক থেকে এই দেশগুলিতে জলবিদ্যুৎ তৈরি করা খুবই সহজ। আর তাই সেই প্রকল্পই হাতে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
সম্প্রতি, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ান, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতদের নিজের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান শিল্পপতি গৌতম আদানি। তাঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
‘‘গুজরাটের খাবদায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। আর দেশের সবচেয়ে বড় বন্দর ও শিল্প ক্ষেত্রে হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে মুন্দ্রা। দু’টি জায়গাই এই সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা ঘুরে দেখেছেন। তাঁদের থেকে এই প্রকল্পগুলির ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছি। ভারতের শক্তির চাহিদা মেটাতে আমরা হাইড্রোজেন নিয়ে কাজ করছি। আদানি গোষ্ঠী পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি নিয়ে আগামী দিনে কাজ চালিয়ে যাবে।’’ বলেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।