আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হবে। —ফাইল চিত্র।
রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠার’ পরে এ বার বাজেট। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আরও একটি তির নরেন্দ্র মোদী সরকার তূণ থেকে বার করতে চলেছে। আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হবে। সরকারি সূত্রের খবর, ভোট কুড়োতে সেই বাজেটে মধ্যবিত্ত, বেতনভোগী মানুষের জন্য আয়কর কাঠামোয় সামান্য হলেও রদবদল হতে পারে।
পুরনো কর কাঠামোয় ২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর থেকে সর্বনিম্ন হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়। তা ৫০,০০০ টাকা বাড়িয়ে ৩ লক্ষ করার ভাবনা রয়েছে। এতে বছরে ১২৫০ টাকা সাশ্রয় হবে। ৫.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। একই সঙ্গে পুরনো ও নতুন, দুই কর কাঠামোতেই ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’-এর পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০,০০০ টাকা করা হতে পারে।
সাধারণত লোকসভা ভোটের বছরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয় নির্বাচনের পরে, নতুন সরকার গঠন হলে। সরকারি খরচ ও কাজে যাতে বাধা না আসে, তার জন্য নির্বাচনের আগে ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট’ বা অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটে বড় কোনও ঘোষণা হবে না। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের আগেও অন্তর্বর্তী বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কাউকেই আয়কর দিতে হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখন দু’টি আয়কর কাঠামো চালু রয়েছে। একটি পুরনো। অন্যটি নতুন। নতুন কর কাঠামোয় করের হার কম, কিন্তু কোনও কর ছাড় মেলে না। পুরনোয় এখনও নানা ছাড় চালু রয়েছে। বিরোধীরা যখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হচ্ছে, তখন আয়করে ছাড় দিয়ে মানুষের হাতে সামান্য হলেও নগদ অর্থ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তার উপরে মোদী সরকার গরিব মানুষের জন্য কোভিডের পরে নানা সুরাহার বন্দোবস্ত করলেও মধ্যবিত্ত কিছু পায়নি বলে বেতনভুক কর্মচারীদের ক্ষোভ রয়েছে। আয়করে সামান্য কিছু ছাড় দিলে ভোটের আগে সেই ক্ষোভও প্রশমিত করা যাবে বলে অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন।