চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়ার মতো কাজ ছিল না দেশে। ফাইল চিত্র।
গত ৮ মে (রবিবার) শেষ হওয়া সপ্তাহেও দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশের উপরে (৮.১৭%)। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহর এবং গ্রামকে আলাদা করে দেখলে ছবিটা একই রকমের মলিন আর উদ্বেগজনক বেকারত্বের যথাক্রমে ৮.৪৫% এবং ৮.৪% হারে। তবে তারই মধ্যে সামান্য আশার আলো দেখাচ্ছে গত মাসের হিসাব। সিএমআইই বলছে, এপ্রিলে দেশের শ্রম বাজারে কর্মযোগ্য মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮৮ লক্ষ। পৌঁছেছে ৪৩.৭২ কোটিতে। যদিও চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়ার মতো কাজ ছিল না। ফলে শেষ পর্যন্ত বেকারত্ব মার্চের থেকে বেশিই রয়ে গিয়েছে।
সিএমআইই-র এমডি মহেশ ব্যাসের দাবি, ভারতের শ্রম বাজারে কর্মকাণ্ড বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এক সময় হতাশ হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া বহু মানুষ ফের কাজ খুঁজতে ভিড় করছেন। করোনা হানার পরে সেই সংখ্যা এতটা বেশি হতে দেখা যায়নি।
রিপোর্ট বলেছে, গত অর্থবর্ষে প্রতি মাসে গড়ে কর্মযোগ্য মানুষ বেড়েছে ২ লক্ষ। কিছু মাসে কমেওছে। সব থেকে বেশি বাড়ে ডিসেম্বরে। তবে এপ্রিলে তার ৮৮ লক্ষ বৃদ্ধির অর্থ, কাজ হারানো কিছু মানুষ ফের কর্মী হিসেবে যোগ দিতে তৈরি। ৭০ লক্ষ কাজ পেয়েছেন। এর আগে তিন মাসে ১.২০ কোটি জন কাজের বাজার থেকে বেরিয়েছিলেন।
ব্যাসের মতে, নির্দিষ্ট একটি সময় কাজের চাহিদা কী রকম তার উপরে নির্ভর বদলাতে থাকে শ্রম বাজার। কারণ সেই অনুযায়ী কর্মীদের আসা-যাওয়া চলে। তথ্য বলছে, এপ্রিলে এক দিকে যেমন শিল্পে প্রায় ৫৫ লক্ষ এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রায় ৬৭ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে, অন্য দিকে তেমনই কৃষি ক্ষেত্রে তা কমেছে ৫২ লক্ষ মতো। উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ পেয়েছেন ৩০ লক্ষ জন, নির্মাণে প্রায় ৪০ লক্ষ।