প্রতীকী ছবি।
আগামী মাসের গোড়ার দিকে কাজ শুরু করতে পারে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’। যার পোশাকি নাম ন্যাশনাল অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি (এনএআরসিএল)। তার মাধ্যমে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) উদ্ধার করে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের হিসেবের খাতা পরিষ্কার করতে চাইছে। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ) চেয়ারম্যান তথা ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও রাজকিরণ রাই জি সম্প্রতি জানিয়েছেন, সেই সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য প্রাথমিক ভাবে ২২টি এনপিএ অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে ফেলেছে ব্যাঙ্কগুলি। যার মোট অঙ্ক ৮৯,০০০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক দফায় প্রায় ৯০টি (মোট ২ লক্ষ কোটি টাকার) এনপিএ অ্যাকাউন্টের সমাধানের চেষ্টা করা হবে ব্যাড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে।
ব্যাড ব্যাঙ্ক আদতে একটি সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থা (এআরসি)। যা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এনপিএ কিনে নিয়ে সেই ঋণ উদ্ধারের চেষ্টা করবে কিংবা বিক্রির চেষ্টা করবে। তাতে ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা পরিষ্কার হবে এবং উদ্ধার হবে অনাদায়ি ঋণের বড় অংশ। যা তৈরি হবে ব্যাঙ্কগুলির তত্ত্বাবধানেই।
রাই জানান, যে সমস্ত এনপিএ অ্যাকাউন্টের ন্যূনতম মূল্য ৫০০ কোটি টাকা এবং অনুৎপাদক সম্পদ খাতে ব্যাঙ্কগুলির সংস্থান ১০০ শতাংশের কাছাকাছি, প্রথম দফায় শুধু সেগুলিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সেগুলির মধ্যে কতটার দায়িত্ব এনএআরসিএল নেবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারাই। ঠিক করবে মূল্য। রাই বলেন, ‘‘আমরা লিড ব্যাঙ্কগুলিকে (ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর নেতৃত্বে থাকা ব্যাঙ্ক) বলেছি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এনপিএ-র তালিকা চূড়ান্ত করতে। যাতে সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থাটি কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি খতিয়ে দেখা যায়।’’ তিনি আরও জানান, সেই অনুযায়ীই এনপিএ-র প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে লিড ব্যাঙ্কগুলি।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পদ পুনর্গঠন সংস্থাটি (এনএআরসিএল) এনপিএ অ্যাকাউন্টের দাম চূড়ান্ত করবে। শুরুতে তার ১৫% টাকা দেবে এনএআরসিএল। বাকিটা থাকবে সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত সিকিউরিটি রিসিট হিসেবে। এনপিএ বিক্রি করে টাকা উদ্ধারের পরে বাকি টাকা দেবে তারা। তা না-পারলে ব্যাঙ্কগুলি সরকারি সিকিউরিটি ব্যবহার করে অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধার করতে পারবে।